এডওয়ার্ড এম কেনেডি জুনিয়র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ৩১ অক্টোবর বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ৫০ বছর স্মরণে বক্তৃতা রাখবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
কেনেডি জুনিয়র বলেন, ‘আমি ও আমার পরিবার বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বাবার অগ্রণী ভূমিকার ৫০তম বার্ষিকীকে সম্মান জানাব।’
প্রয়াত মার্কিন সিনেটর এডওয়ার্ড এম কেনেডির ছেলে ও প্রয়াত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির ভাতিজা কেনেডি জুনিয়র এবং তার পরিবার রোববার (৩০ অক্টোবর) ধানমন্ডিতে বেঙ্গল ফাউন্ডেশনে যাবেন।
কেনেডি জুনিয়রের সঙ্গে পরিবারের অন্য সদস্যদের মধ্যে যারা থাকবেন, ডা. ক্যাথরিন কেনেডি (স্ত্রী), ড. কিলি কেনেডি (মেয়ে), টেডি কেনেডি (ছেলে), গ্রেস কেনেডি অ্যালেন (ভাতিজি) ও ম্যাক্স অ্যালেন (ভাতিজা)।
কেনেডি পরিবার লাইভ শাস্ত্রীয় সঙ্গীত পরিবেশনা, ভ্রমণবিষয়ক গ্রন্থাগার প্রদর্শনী ও বেঙ্গল ফাউন্ডেশন গ্যালারিতে চলমান শিল্প প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ নেবেন। পাঠকদের উৎসাহিত করতে পরিবারটি আয়োজকের বইয়ের দোকানেও যাবেন।
যোগাযোগ করা হলে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের একজন মুখপাত্র এটিকে ‘ঐতিহাসিক সফর’ হিসেবে অভিহিত করেন।
কেনেডি পরিবার বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে বছরব্যাপী উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ সফরে আসছেন।
তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে দেখা করবেন।
ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট স্পিকারস প্রোগ্রামের পৃষ্ঠপোষকতায় কেনেডি জুনিয়র বাংলাদেশের স্বাধীনতার লড়াইয়ের একজন জোর সমর্থক হিসেবে তার বাবার উত্তরাধিকারকে স্মরণ করবেন এবং যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে তার বাবার লাগানো বটগাছটি পরিদর্শন করবেন।
একজন আইনজীবী ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নাগরিক অধিকারের প্রবক্তা হিসেবে তিনি এডওয়ার্ড এম কেনেডি সেন্টার ফর পাবলিক সার্ভিস অ্যান্ড দ্য আর্টসে প্রতিবন্ধী অধিকারের ওপর একটি বক্তৃতাও দেবেন।
বাংলাদেশে এক সপ্তাহের সফরে কেনেডি পরিবার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক আকর্ষণ পরিদর্শন করবেন এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ইউএস গভর্নমেন্ট-স্পন্সর এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম অ্যালামনাই ও বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করবেন।
১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারিতে সিনেটর টেড কেনেডি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। সেসময় তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন যে যখন কিছু সরকার আপনাদেরকে এখনও চিনতে পারেনি, তবে বিশ্বের মানুষ আপনাদেরকে চিনেছে এবং অত্যাচার ও নিপীড়ন থেকে মুক্তির জন্য আপনারা এখানে যা করেছেন তা বিশ্ববাসী স্বীকার করে। স্বাধীনতায় আমরা ভাই এবং কোনো মানুষ, কোনো নীতি বা কোনো সরকার এই সত্য পরিবর্তন করতে পারে না।’
সিনেটর কেনেডি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বন্ধুত্ব, স্থিতিস্থাপকতা ও আশার প্রতি জীবন্ত শ্রদ্ধা হিসেবে একটি বটগাছ রোপণ করেছিলেন, যা আজও দাঁড়িয়ে আছে।
সিনেটর টেড কেনেডি ১৯৭২ সালে ঢাকা সফরের সময় বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের সংগ্রাম আমাদের অতীতের সবচেয়ে বড় স্মৃতি জাগায়।’