দেশে আবারো লকডাউন। বন্ধ হয়ে গেছে দেশের পেশাদার ফুটবলের সর্বোচ্চ টুর্নামেন্ট বিপিএল। ক্লাবে আটকা পড়েছে দেশি-বিদেশী সকল ফুটবলার। লকডাউন দীর্ঘায়িত হলে ফুটবলারদের ভরণ-পোষণ নিয়ে সন্দিহান ছোট ক্লাবগুলো। পর পর দুই বছর লিগ বন্ধ হলে, ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারাটা কঠিন হবে বড় ক্লাবগুলোর জন্যে।
২০২০ সালে এমনই এক লকডাউনে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছিল দেশের ফুটবলের সূচি। একে একে বাতিল হয় বিপিএল, বিসিএল, পাইওনিয়ার লিগ ও নারীদের লিগসহ বাফুফের সূচিতে থাকা সব ম্যাচ। এক সপ্তাহের লক ডাউনে আবারো অনিশ্চয়তায় পড়ে গেল দেশের সব ফুটবল ক্লাব ও এতে খেলা হাজারো ফুটবলার। সবার প্রশ্ন এক সপ্তাহ শেষে খেলা মাঠে ফিরবে তো?
প্রিমিয়ার লিগের ১৩টি ক্লাবে রয়েছে ৫০ এর অধিক বিদেশি ফুটবলার। দেশি ফুটবলাররাও ক্লাব ছাড়েনি। সবাই আটকা পড়লো নিজ নিজ ক্লাবে। দেশের বাইরে বেশির ভাগ ফ্লাইট বন্ধ। এমন অবস্থায় ক্লাবের ফুটবলারদের খরচ কতদিন বহন করতে পারবে অপেক্ষাকৃত দূর্বলরা তা নিয়ে সন্দিহান। লিগ বাতিল হলেও আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে ক্লাবগুলো।
৯ এপ্রিল থেকে শুরু হবার কথা ছিল পেশাদার ফুটবলের সর্বোচ্চ টুর্নামেন্ট বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ১৩তম আসরের দ্বিতীয় লেগের খেলা। ক্লাবগুলো ছিল দলবদলের মধ্যে। সেটাও বন্ধ হয়ে গেল একপ্রকার। বড় ক্লাবগুলোরও এড়াতে পারছে না আর্থিক ক্ষতি। ২০২০-২১ মৌসুমের মত এবারও যদি বাতিল হয়ে যায় লিগ, তবে পর পর দুই বছর লিগ বন্ধ হওয়ায় ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারাটা কঠিন হবে ক্লাবগুলোর জন্যে।