আগামী ডিসেম্বর মাস থেকে দেশে লোডশেডিং থাকবে না বলে জানিয়েছেন পিডিবি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেছেন, বিদ্যুতের বর্তমান পরিস্থিতি সাময়িক। আগামী ডিসেম্বর থেকে এমন পরিস্থিতি থাকবে না।
শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) আইইবি’র তড়িৎকৌশল বিভাগের উদ্যোগে আইইবি সদর দফতরে পঞ্চমবার্ষিকী পেপার উপস্থাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমকর্মীদের এসব কথা বলেন তিনি। পিডিবি চেয়ারম্যান বলেন, শীত এলে বিদ্যুতের চাহিদা কমে আসবে। এছাড়া কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রও চালু হবে। তাই ডিসেম্বরে লোডশেডিং থাকবে না।
জ্বালানি খাতে লোকসান কমাতে জুলাই মাসে ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
মূলত গ্যাস স্বল্পতার কারণে গ্যাস নির্ভর বেশ কিছু বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ থাকায় ঈদুল আজহার আগে থেকেই বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহে রাশ টানা শুরু হয়। এরপর সরকারি অফিসে বিদ্যুতের ব্যবহার ২৫ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া রাজধানী ঢাকাসহ শহর এলাকাগুলোতে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং শুরু হয়। বিদ্যুৎ নিয়ে এমন অবস্থা তৈরি হলে জনগণকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানানো হয় সরকারের পক্ষ থেকে।
সেপ্টেম্বরের পর বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তখন পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকে লোডশেডিং থাকবে না বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
অক্টোবর শেষের দিকে এলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় গতকাল নতুন করে নভেম্বর মাসে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি উন্নতির আশ্বাস দেন প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। কিন্তু প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যের একদিন পর পিডিবি চেয়ারম্যান ডিসেম্বর মাসে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ার কথা জানান।
মাহবুবুর রহমান বলেন, ডলারের সংকট আছে, সঙ্গে আছে জ্বালানি সংকট। বিদ্যুতের বর্তমান পরিস্থিতি সাময়িক। শীতে বিদ্যুতের চাহিদা কমে আসবে। কয়লা বিদ্যৎকেন্দ্রও চালু হবে। আমরা আশা করছি আগামী ডিসেম্বর মাস থেকে এমন পরিস্থিতি থাকবে না।
পিডিবি চেয়ারম্যান আরও বলেন, দেশে শিল্পকারখানা যত বাড়বে বিদ্যুতের চাহিদাও তত বাড়বে। বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখে মহাপরিকল্পনা নিয়ে কাজ হচ্ছে। সেক্ষেত্রে বড় সমাধান হতে পারে সোলার। চাহিদার বড় একটি অংশ সোলার দিয়ে মোকাবিলা করার চেষ্টা চলছে।
এ সময় দেশের মানুষকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে আরও সাশ্রয়ী হওয়ার পরামর্শ দেন পিডিবি চেয়ারম্যান মাহবুবুর।