লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে মেঘনা নদীর ভাঙন রোধে তীরবর্তী মানুষ গুলো সৃষ্টিকর্তার দরবারে প্রার্থনা করেছে। এতে ভাঙন কবলিত এলাকার বাসিন্দারা কান্নায় ভেঙে পড়েন। মহান আল্লাহর কাছে ভাঙন থেকে মুক্তি চেয়েছেন সবাই। পূর্ব-পুরুষের ভিটেমাটি ও শেষ ঠিকানা কবর রক্ষায় আল্লাহর রহমত কামনা করেন সকলে।
শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার চরফলকন ইউনিয়নের লুধুয়া এলাকায় এক বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। এসময় বিপুলসংখ্যক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। কমলনগর রামগতি বাঁচাও মঞ্চের উদোগে এ আয়োজন করা হয়।
এ সময় দোয়া পরিচালনা করেন- কমলনগর উপজেলা ইমাম সমিতির সভাপতি ক্বারী মাওলানা গিয়াস উদ্দিন।
এতে উপস্থিত ছিলেন- কমলনগর উপজেলা পরিষদের কমলনগর রামগতি বাঁচাও মঞ্চের আহবায়ক আবদুস সাত্তার পালোয়ান, সংগঠনের উদ্যোক্তা ইমরান হোসেন শাকিল প্রমুখ।
আলি উল্লাহ, আনোয়ারুল উল্লাহ ও আব্দুল মতিন জানান, আমাদের সবকিছুই এ মেঘনার গর্ভে তলিয়ে গেছে। সর্বশেষ ঘুর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ আমাদের গবাদিপশু, নৌকা, রাস্তা-ঘাটসহ ফসিল জমি মেঘনা নদী নিয়ে গেছে। এ পর্যন্ত বহু স্কুল-মাদ্রাসা, চিকিৎসা কেন্দ্র। সরকারি-বেসরকারি বহু প্রতিষ্ঠান বিলীন হয়ে গেছে। আমরা এখন খুব নিঃস্ব। আমাদের আর কিছুই নেই। আমরা একটি টেকসই বেড়িবাঁধ চাই।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, ২০২১ সালে একনেকের সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রামগতি ও কমলনগর উপজেলার ৩১ কিলোমিটার নদী তীর রক্ষা বাঁধের জন্য প্রায় ৩১শ’ কোটি টাকার প্রকল্পের অনুমোদন দেন। সেই লক্ষ্যে কমলনগরের সাহেবেরহাট ইউনিয়নের মেঘনা এলাকায় গত ৯ জানুয়ারি পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্ণেল (অবঃ) জাহিদ ফারুক কাজের উদ্বোধন করেন।
এদিকে শুষ্ক মৌসুমে কয়েকদিন কাজ করে ৩৬ টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পালিয়ে বেড়াচ্ছে। বালু সংকট ও টাকা বরাদ্ধ না থাকায় তারা কাজ করতে পারছেন না বলে জানা গেছে।