বিদেশি কারাবন্দিদের কাজের সুযোগ করে দিয়েছে মালয়েশিয়া। দেশটিতে বিভিন্ন অপরাধে আটক বিদেশি কারাবন্দিদের কাজের সুযোগ সৃষ্টি করতে ‘থ্রিপি’ নামে একটি প্রোগ্রাম চালু করেছে সরকার। সাজা শেষে কাজের আয়ের একটি অংশ সঙ্গে নিয়ে দেশে ফিরতে পারবেন কারাবন্দিরা।
সরকার বিদেশি কারাবন্দিদের কাজের জন্য (পিআরপি) রেসিডেন্ট রিইন্টিগ্রেশন সেন্টার স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বন্দি ও পিআরপি বাসিন্দাদের চাকরির সুযোগ করে দিয়ে বেসরকারি কোম্পানিগুলোর সম্পৃক্ততা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও অবদান রাখতে পারে।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) নেগারি সেম্বিলান রাজ্যের সেরেম্বান জেলার নিলাইয়ের মানতিনে বিদেশি বন্দিদের প্লেসমেন্ট, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ইনকাম (থ্রিপি) প্রোগ্রামের ওপর একটি কর্মশালার উদ্বোধনী ভাষণে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারি জেনারেল দাতুক সেরি ওয়ান আহমাদ দাহলান আবদুল আজিজ জানিয়েছেন, এ প্রোগ্রামের মাধ্যমে কারাগার এবং ইমিগ্রেশন ডিটেনশন ডিপোগুলোতে অতিরিক্ত ভিড় কমানোর পাশাপাশি বিদেশি বন্দিদের তাদের দেশে প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হবে।
থ্রিপি প্রোগ্রামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কারা কমিশনার জেনারেল দাতুক নর্ডিন মোহাম্মদ ও ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালক দাতুক সেরি খায়রুল দাজাইমি দাউদসহ দেশটির বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এদিকে ১৯ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারি জেনারেল দাতুক সেরি ওয়ান আহমাদ দাহলান আবদুল আজিজের উদ্ধৃতি দিয়ে দেশটির অনলাইন নিউজ পোর্টাল উতুসানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়ার কারাগারে প্রায় ১২ হাজার বিদেশি বন্দি রয়েছে।
বিভিন্ন কারাগার পরিদর্শন করার পর কারাবান্দিদের ইমিগ্রেশন ডিটেনশন ডিপোগুলোতে অতিরিক্ত ভিড় কমাতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এরই মধ্যে কারাবন্দিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। কারাবন্দিরা যখন ছাড়া পাবেন, তারা যেন স্বাভাবিক জীবনে তাদের দেশে ফিরে যেতে পারেন এবং নিজেদের আয়ের একটা অংশ সঙ্গে করে দেশে নিয়ে যেতে পারেন। এই আয়ের মাধ্যমে ইমিগ্রেশন ডিটেনশন ডিপোতে প্লেসমেন্ট প্রোগ্রামে না গিয়ে উপার্জিত আয়ের অর্থ দিয়ে দ্রুত কারাবন্দিরা তাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে পারবে।
এছাড়া যেসব বিদেশি কারাবন্দি তাদের সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও অর্থের অভাবে দেশে যেতে পারছে না তাদের জন্য এটি অনেক সহায়ক হবে। এ ক্ষেত্রে কারাবন্দিদের উপার্জিত অর্থ ব্যবহারের মাধ্যমে স্ব-স্ব দূতাবাস তাদের নাগরিকদের দেশে ফেরত পাঠাতে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।