সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) মুরব্বি ও গুরুজন আখ্যা দিয়ে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘আমাদের মুরব্বিজন হিসেবে, গুরুজন হিসেবে পরামর্শ দিয়েছেন সততার সঙ্গে সাহসিকতার সঙ্গে এগিয়ে যেতে। আমরা সেটাই করছি। আমরা ওনাদের কথায় অনেক আলোকিত হয়েছি, অনেক শিখেছি।’
বুধবার (১৯ অক্টোবর) আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনে সাবেক সিইসি ও ইসিদের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন কাজী হাবিবুল আউয়াল।
সিইসি বলেন, ‘আমাদের মুরব্বিরা, গুরুজনরা বলেছেন জাতীয় নির্বাচনের দিকে নজর দিতে। আর গাইবান্ধায় যে অ্যাকশন নিয়েছি সঠিক কাজটি করেছি।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে নির্বাচন কমিশন ভবনে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুর রউফ, কাজী রকিব উদ্দিন আহমদ ও কে এম নুরুল হুদা।
এ ছাড়া সাবেক নির্বাচন কমিশনারদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সাবেক সচিবদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-ড. মোহাম্মদ সাদিক, হেলালুদ্দীন আহমদ, মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, মো. সিরাজুল ইসলাম, মো. মোখলেছুর রহমান, বেগম জেসমিন টুলী প্রমুখ।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আজকের সভায় আমরা আমাদের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্যই দিইনি। আমরা ওনাদের কথা শুনেছি এবং ওনারা আপনাদের বলেছেন, ঠিক আপনারাও শুনেছেন। আমরা ডেকেছিলাম নির্বাচনের সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে। হ্যাঁ, এটা সত্য যে, গাইবান্ধাতে যে একটা ঘটনা ঘটে গেল, আমাদের প্রয়োজন ছিল এ বিষয়ে আরও এনলাইটেন্ড (আলোকিত) হওয়া। ওনাদের তরফ থেকে কোনো গাইডেন্স আছে কি না ওনারা এটাকে কীভাবে মূল্যায়ন করছেন অতটুকু। ওনারা বৃহৎ পাসপেকটিবে কথা বলেছেন, আমরা বলিনি।’
সিইসি বলেন, ‘এনআইডি নিয়ে ওনারা বলেছেন- হ্যাঁ এনআইডিটা এখানেই থাকা প্রয়োজন। এটা একবাক্যে সকলেই বলেছেন। এটা নিয়ে ওনাদের যে নলেজ আছে, আমার সেই নলেজ নাই। ইভিএম নিয়েও পক্ষে বিপক্ষে কথা হয়েছে। পক্ষে বেশি কথা হয়েছে। কিন্তু বলেছে এটা নিয়ে একটা পারসেপশন নেগেটিভ জনমনে রয়েছে। সেই ধারণাটা দূর করতে হবে। আমাদের জাতীয় নির্বাচনের দিকে নজর দিতে হবে। আমরা গাইবান্ধাতে যে অ্যাকশন নিয়েছি ওনারা বলেছেন এটা সঠিক হয়েছে। ওনারা বলেছেন আইনগতভাবে এবং সাংবিধানিকভাবে ঠিক হয়েছে।
হাবিবুল আউয়াল বলেন, ওনারা আমাদের মুরব্বিজন হিসেবে গুরুজন হিসেবে পরামর্শ দিয়েছেন সততার সাথে সাহসিকতার সাথে এগিয়ে যেতে। যে গাইডেন্স পেয়েছি, যে বক্তব্যগুলো শুনেছি সেগুলো আমাদের এডুকেটেড করেছে, ইন্সিপায়ার করেছে।
গাইবান্ধার ভোটে অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত নিয়ে জানতে চাইলে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘গাইবান্ধার বিষয়ে অপেক্ষা করুন। তদন্ত কমিটি গঠন করেছি, তদন্ত রিপোর্টটা আসুক। আপনারা দেখেন ওয়েট অ্যান্ড সি যে, আমরা কোন পদক্ষেপ নিই কি নিই না। সেটা আপনার দেখবেন। তাদের ডাকা খুবই প্রয়োজন ছিল, মূল্যায়নের খুবই প্রয়োজন আছে।’