২০০৭ আসর থেকে টি-টোয়েন্টির বিশ্বকাপের সূচনা হলেও ততদিনে অবশ্য আকাশ ছোঁয়া জনপ্রিয়তা হয়ে উঠেনি। প্রথম আসরের ফাইনালে ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজানপূর্ণ ম্যাচ দেখে ধীরে ধীরে এই সংস্করণের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ে। দর্শকরাও সময়ের সঙ্গে চার-ছক্কার ফুলঝুঁড়ি আর ধুমধারার ক্রিকেট দেখতে আগ্রহী হয়ে উঠছিলেন। এশিয়ার দুই পরাশিক্তি হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ ও ভারত বরাবরের মতো এবারও মুখোমুখি হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। ২০১৬ সালে ব্যাঙ্গালুরুর সেই দুঃস্বপ্ন ভুলে কি টাইগাররা পারবে ভারত বধ করতে।
আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একাধিকবার দেখা হয়েছে বাংলাদেশ এবং ভারতের। ২০০৭ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নদের সাথে টাইগারদের দেখা হয় বিশ্বকাপের দ্বিতীয় আসরে। ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত সেই আসরে বাংলাদেশকে ২৫ রানে হারায় ভারত। গৌতম গম্ভীর সর্বোচ্চ ৫০ রান এবং যুবরাজের ৪১ রানের ঝড়ো ইনিংসে ১৮০ রানের লক্ষ্য দেওয়া হয় টাইগারদের। জুনায়েদ সিদ্দিকির ৪১ রান এবং তামিমের ১৫ রানে বাংলাদেশ শুভ সূচনা পেলেও মিডেল অর্ডারের ব্যর্থতা অপরদিকে প্রজ্ঞান ওঝার ৪ উকেটের বোলিং নৈপুণ্যে টাইগাররা পরাজিত হয়।
২০১৪ আসরেও নিজেদের মাঠেও ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। রোহিত শর্মা,ভিরাট কোহলিদের ঝড়ো ইনিংসে সহজেই ১৩৮ রানের লক্ষ্য টপকে যায়। ২০১৬ সালে ষষ্ট আসরে ভারতের মাঠে বোলিং ব্যটিং উত্তেজনাপূর্ন ম্যাচ তৈরি করেও ১ রানের তিক্ততা নিয়ে ম্যাচ হারে বাংলাদেশে। ব্যাঙ্গালুরুতে শেষ ওভারে মুশফিক, মাহামুদুল্লাহর ৩ বলে ২ রানের ব্যর্থতা গোটা টাইগার ভক্তদের পুরিয়েছে।
পূর্বের অতীত ইতিহাস বাদ দিলে টাইগার বর্তমান স্কোয়াড অনেকটা আশা জাগানিয়া হলেও সাম্প্রতিক ফর্ম বিপরীত কথা বলছে। রোহিত শর্মাদের বিপক্ষে সাকিব আল হাসানের দল পারবে কি নিজেদের সেরাটা দিয়ে প্রথম বারের মতো ভারতকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে হারাতে?