বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে মিথ্যা মামলা ও সাজা প্রত্যাহার করে দেশে আসতে দিতে হবে। বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট মাঠের সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ১৯৭৪ সালে যখন দেশে দুর্ভিক্ষ হয় তখন আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের কারণে মানুষ কষ্ট করতে লাগলেন। তখন বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমার দলে তো সব চাটার দল, চোরের দল, সব চুরি করে খেয়ে ফেলছে। বিদেশ থেকে কম্বল আসল তাও চুরি করে খেয়ে ফেলছে। আমার কম্বলটাই পেলাম না।
তিনি বলেন, মানুষের মুখ বন্ধ করার জন্য সরকার ডিজিটাল আইন করল। যেন মানুষ সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলতে না পারেন। শেখ হাসিনা কি গড, দেবতা নাকি ঈশ্বর যে তাকে নিয়ে সমালোচনা করা যাবে না। সম্প্রতি রাজবাড়িতে আমাদের এক সমাজসেবী বোন নাকি ফেসবুকে শেখ হাসিনার সমালোচনা করেছেন। এজন্য রাতের আধারে তাকে ধরে নিয়ে গেল। এসব করে মানুষের মুখ বন্ধ করতে পারবেন না। আজ মানুষের গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
বিএনপির এ নেতা বলেন, ময়মনসিংহের এ সমাবেশের আগে আওয়ামী লীগের সোনার ছেলেরা নাকি আমার রাজনৈতিক সহকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তারা যে হোটেলে ছিল সেখানে গুলি করছে। সমাবেশে আসার পথে দেখেছি সোনার ছেলেরা লাঠিসোঁটা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। আমাদের নেতাকর্মীদের দেখে তারা লেজ গুটিয়ে পালিয়েছেন।
ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক একেএম শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মশিউর রহমান, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স প্রমুখ।