জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের দেওয়া প্রস্তাবগুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
শনিবার (৮ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে সব ডিসি ও এসপিদের সঙ্গে আয়োজিত এক বৈঠকে শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র না বাড়িয়ে ভোট কক্ষ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপাররা। প্রয়োজনে প্রতিটি কেন্দ্রে বুথের সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে সরকারের আমলারা। মূলত কেন্দ্রে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের বিষয়টি বিবেচনা করে তারা এ প্রস্তাব দিয়েছেন।
সর্বশেষ ভোটার তালিকা অনুযায়ী, দেশের বর্তমান ভোটারের সংখ্যা ১১ কোটি ৩২ লাখ। ১ বছরের ব্যবধানে ভোটার বেড়েছে ১৫ লাখ ৭০ হাজারের বেশি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের আগে ভোটার সংখ্যা আরও বাড়বে। একাদশ ভোটে ভোটকেন্দ্র ছিল ৪০ হাজারের মতো সে হিসেবে ভোটার বাড়লে ভোটকেন্দ্র না বাড়িয়ে কক্ষ বাড়াতে চান মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
ইসির বৈঠকে পুলিশ সদর দপ্তরের পক্ষ থেকে অংশ নিয়ে অতিরিক্ত আইজিপি আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচনের সময় ইসির অধীনে পুলিশ প্রশাসন কাজ করে থাকে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনার আলোকে পুলিশ দায়িত্ব পালন করে। কারো বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এলে পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পুলিশের ভূমিকা ২০১৮ সালের নির্বাচনের মতো থাকবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত আইজিপি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন আমাদের যেভাবে দায়িত্ব পালন করতে বলবে আমরা সেইভাবেই করব।
ভোট কেন্দ্র কমানোর পরামর্শের বিষয়ে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘নির্বাচনের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার সংযোগ রয়েছে। তারা অর্থপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছে। তারা বলেছেন ভোট কেন্দ্রগুলো রিঅ্যারেঞ্জ করা হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ভোটারদের দৃষ্টিতে আরও সহজতর হতে পারে। আমরা তাদের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করব।’