তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, জাপানি শিক্ষা মেথড কুমন দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। এ লক্ষ্যে আগামী বছর থেকে আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে দেশের ৩০০ স্কুল অব ফিউচারে কুমন শিক্ষাক্রম চালু করা হবে। এছাড়া ২০২৫ সালের মধ্যে সব শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবেও চালু করা হবে আনন্দদায়ক এই শিক্ষা।
শনিবার (৮ অক্টোবর) সাভারের বিরুলিয়ায় ব্র্যাক সিডিএমে জাপানি শিক্ষা মেথড ‘ব্র্যাক কুমন’ প্রতিযোগিতায় স্বর্ণ ও রৌপ্য পদক বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী গানে গানে শিশুদের জন্য সবুজ বাগান গড়ে তোলার প্রত্যয় জানিয়ে বিরুলিয়ার বিসিডিএম সেন্টারে কুমন জয়ীদের অনুপ্রাণিত করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি। অন্যদের মধ্যে আরও বক্তৃতা করেন ব্র্যাকের প্রধান নির্বাহী আসিফ সালেহ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক সারওয়াত আবেদ।
সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, জাপানি নাগরিক তরু কুমন ‘কুমন’ পদ্ধতির প্রবক্তা। তার ছেলে তাকেশি গণিতে দুর্বল ছিলেন বলে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এ গণিত শিক্ষক ১৯৫৮ সালে অভিনব এই পদ্ধতির উদ্ভাবন করেন। এ পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীরা সহজে গণিত ও ইংরেজি শিক্ষা লাভ করতে পারে। বিভিন্ন ধাপ বা লেভেলে শিক্ষার্থীরা ক্রমান্বয়ে এ পদ্ধতিতে এগিয়ে যায়। বর্তমানে বিশ্বের ৬০টি দেশের ৪০ লাখ শিক্ষার্থী কুমন পদ্ধতিতে গণিত ও ইংরেজিতে দক্ষতা লাভ করছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন, আশা করছি, জাপানি কুমন মেথডের শিক্ষা পদ্ধতিটি বাংলাদেশের জাতীয় পাঠ্যক্রমেও গ্রহণ করা হবে। আমার বিশ্বাস ভবিষ্যতে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে এটি মডেল হিসেবে প্রমাণিত হবে।