ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডাকাতের কবলে পড়েছিলেন চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন। ওই সময় চালকের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে অতর্কিতভাবে হানা দেয় ডাকাত দল। পরে তাকে ও তার চলক মো. ইয়াছিন বাদশাকে কুপিয়ে নগদ টাকা ও চারটি মোবাইল ফোন লুটে নেয় ডাকাতরা।
এ ঘটনায় গতকাল শনিবার (০১ অক্টোবর) রাতে সোনারগাঁ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ৪-৫ জন ডাকাতের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আহত ওসি আলমগীর ও গাড়িচালক বাদশা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন বলে জানা গেছে। এর আগে গত শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ভোরে মেঘনা টোলপ্লাজা এলাকায় ওই ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
সোনারগাঁ থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার ভোরের দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা টোল প্লাজায় ডাকাতের কবলে পড়ে ওসি আলমগীরের ব্যবহৃত গাড়িটি (চট্ট মেট্রো গ-১২৬৮৫১)। ঘটনার দিন তিনি কর্মস্থলে যোগ দিতে চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানার উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে রওনা হন। পরে গাড়িটি ভোর রাতের দিকে মেঘনা টোল প্লাজায় টোল দেওয়ার জন্য থামে। ওসিকে বহন করা গাড়িটির সামনে আরও ৬-৭টি গাড়ি টোল দিতে লাইনে আটকা পড়ে।
এ সময় ৪-৫ জনের একটি ডাকাত দল প্রথমে গাড়ি চালক মো. ইয়াছিন বাদশা মিয়ার মাথায় পিস্তল তাক করে। পরে ওসি আলমগীরকে গাড়ি থেকে নামিয়ে কুপিয় জখম করে। এ সময় গাড়িচালক বাধা দিতে গেলে তাকেও কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে তাদের কাছে থাকা নগদ ১৯ হাজার টাকা ও ৬০ হাজার টাকা মূল্যের চারটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় ডাকাতরা। তাদের ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে দ্রুত পালিয়ে যায় ডাকাত দল।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ- অঞ্চল) শেখ বিল্লাল হোসেন বলেন, ডাকাতির ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আমরা টোল প্লাজার সিসি টিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখবো। এর সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।