দেশে ভালো পরিমাণে (যথেষ্ট) টাকা আছে, তবে তা যথাস্থানে খরচ হয় না বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
তিনি বলেন, টাকা বাংলাদেশে মোটামুটি ভালো পরিমাণে আছে। তবে অনেক সময় প্রধানমন্ত্রী চাইলেও যথাস্থানে খরচ করতে পারেন না।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘গৃহকর্মীর অধিকার আমাদের অঙ্গীকার’ শীর্ষক জাতীয় সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, নিম্নআয়ের মানুষ, কৃষক, মজুর ও নারীদের জন্য শেখ হাসিনার দরদ আছে। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে এসব মানুষের জন্য কিছু করতে চান। এ জন্য এ খাত সংশ্লিষ্টরা ২০০ থেকে ৩০০ কোটি টাকার প্রস্তাব নিয়ে আসুন। আমি পরিকল্পনা কমিশনে কাজ করি। প্রধানমন্ত্রী একনেক প্রধান। প্রস্তাবটাকে আইনের সঙ্গে মিলিয়ে আনুন। আমরা এটাকে দেখবো।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী চান আপনাদের কল্যাণ হোক। কিন্তু কিছু আইনি বাধা, সাংস্কৃতিক কিছু বাধা আছে। এটা পার হওয়ার পর আমরা অনুমোদন দেবো। আপনারা শেখ হাসিনাকে সাহায্য ও সহযোগিতা করবেন। সামাজিক শান্তি নষ্ট হলে কিন্তু সবার জন্য অমঙ্গল।
গৃহকর্মীর অধিকার প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, যারা ঘরে কাজ করেন তারাও বাংলাদেশের মানুষ। গত কয়েক বছর দেশে খেয়েপরে বাঁচার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। তবে সমাজে এখনো কিছু লোক উপোস থাকে, আধপেটা খেয়ে থাকে। এখনো কিছু মানুষ অবিচারের শিকার হয়, নানা ধরনের লাঞ্ছনার শিকার হয়। বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র। সবাই স্বাধীন নাগরিক, ভোটাধিকারও সমান- এটা আইনের কথা। কিন্তু বাস্তবে সমান না। বাস্তবে সব মানুষ স্বাধীন নয়।
তিনি বলেন, সমাজে অনেকেই কিছু সম্মানী ভাতা নিয়ে কাজ করেন। কোনো গৃহকর্ত্রী বাড়াবাড়ি করবেন না, এটা উচিত নয়। গৃহকর্মীর জন্য পরিষ্কার আইন থাকা প্রয়োজন।
এম এ মান্নান আরও বলেন, আমাদের চাহিদা মেটানোর জন্য রাস্তায় চাপ দিয়ে থাকি, কাজ করতে দেবো না, বাস চলতে দেবো না- এটা হতে পারে না। লাঠিসোঁটা নিয়ে বাড়াবাড়ি বন্ধ করতে হবে। এই ধরনের নেতিবাচক আচরণ বন্ধ করতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ উন্নয়নের অর্থ বুঝতে পেরেছে, তারা আরও উন্নয়ন চায়। আমি গ্রামের ছেলে। আমি গ্রামে হাওরে যাই, গ্রামের মানুষ টিউবওয়েল চায়, পাকা পায়খানা, স্কুল চায়। গ্রামের মানুষও বোঝেন আরও বিদ্যুৎ, সড়ক, স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন দরকার।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী, শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব মো. এহছানে এলাহী প্রমুখ।