বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে পাঁচটি বিষয়কে প্রাধান্য দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে একটি হচ্ছে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন। এই প্রত্যাবাসন পর্যন্ত তাদের সহায়তা করা। একই সঙ্গে রোহিঙ্গাদের নিরাপদে ও স্বেচ্ছায় নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জন্য একটি সমস্যা হচ্ছে রোহিঙ্গা শরণার্থী। তারপরও বাংলাদেশ সরকার আন্তরিকভাবে এবং মানবতার সঙ্গে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের পক্ষে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস আরও বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে পাঁচটি বিষয়কে প্রাধান্য দেয় যুক্তরাষ্ট্র। প্রথমত, শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল বাংলাদেশ; গণতন্ত্র, বহুদলীয় গণতন্ত্র, সহিষ্ণুতা, স্বচ্ছতা, সুশাসন ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীলতা; সামাজিক ও পরিবেশগত প্রতিকূলতা মোকাবিলায় সক্ষমতা; রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছায় নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন পর্যন্ত তাদের সহায়তা করা- এই চার লক্ষ্য সার্থকভাবে পালন করলে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন, শ্রমমান উন্নয়নে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করা।
পারস্পরিক দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার ভিত্তিতে এসব অর্জন সম্ভব বলে জানান রাষ্ট্রদূত। শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল বাংলাদেশ সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি এক্ষেত্রে বাংলাদেশ এবং মার্কিন সামরিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন।
‘মিট দ্য অ্যাম্বাসেডর’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে মূল অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিটার হাস। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের (সিজিএস) নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সিজিএসের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরী দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অনেক গভীর।
এসময় তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় মার্কিন নাগরিকদের অবদানের কথা তুলে ধরেন। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই ধরনের সাহায্য-সহযোগিতার সম্পর্ক বজায় থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সিজিএসের চেয়ারম্যান।