গত পরশু দিন ইংল্যান্ড থেকে এসেছেন। ঢাকার আবহাওয়ায় অনুশীলনও তেমন করতে পারেননি। এরপরও ১০০ মিটার ইভেন্টে ইমরানুর রহমানের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখতে সমস্যা হয়নি। জাতীয় গ্রীষ্মকালীন অ্যাথলেটিক্সে ১০.২৯ সেকেন্ড টাইমিং করে বাংলাদেশের দ্রুততম মানবের খেতাব অক্ষুণ্ণ রেখেছেন প্রবাসী এই অ্যাথলেট।
এই বছর জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় অ্যাথলেটিক্সে দ্রুততম মানবী হয়েছিলেন সুমাইয়া দেওয়ান। গ্রীষ্মকালীন অ্যাথলেটিক্সেই নিজের শ্রেষ্ঠত্ব পুনরুদ্ধার করেছেন শিরিন আক্তার। রেকর্ড ১১.৯৫ সেকেন্ড টাইমিং দৌড়ে তিনি নিজের দ্রুততম মানবীর খেতাব ফিরে পেয়েছেন।
অ্যাথলেটিকস ও সাঁতারের জাতীয় প্রতিযোগিতা মানেই টাইমিং নিয়ে প্রশ্ন। গত জাতীয় প্রতিযোগিতার মতো এই প্রতিযোগিতাও হয়েছে ইলেকট্রনিক টাইমিংয়ে। দ্রুততম মানবী শিরিন তার ১০০ মিটার ইভেন্টে সেরা টাইমিং করেছেন। এই ইভেন্টে আগের সেরা টাইমিং ছিল ১১.৯৯। সেটা ছিল ২০১৬ সালে গৌহাটি সাফ গেমসে। এবারের সামারে তার টাইমিং তিনি করেছেন ১১.৯৫। দ্বিতীয় হওয়া সুমাইয়া দেওয়ানের টাইমিং ১২.০৯।
ইমরানুর রহমান গত মাসে অনুষ্ঠেয় ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে ষষ্ঠ হয়েছিলেন৷ সেই গেমসে তিনি ১০.০২ সেকেন্ড টাইমিং করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন৷ ইসলামিক সলিডারিটি গেমসের চেয়ে এই সামারে তার টাইমিং কিছুটা বেড়েছে। এবারের এই টাইমিং অবশ্য গত জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের চেয়ে কম।
নিজের সেরা টাইমিং ছুঁতে পারেননি ইমরানুর, তবে দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ইসমাইলের টাইমিং তার চেয়ে অনেক বেশি। সেনাবাহিনীর ইমরানের টাইমিং যেখানে ১০.২৯ সেখানে নৌবাহিনীর ইসমাইলের ১০.৭০।