রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকিকে ‘অকল্পনীয়’ বলে আখ্যায়িত করেছে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড। একইসঙ্গে ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের মাত্রা বৃদ্ধিরও নিন্দা জানিয়েছে দেশ দু’টি।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। এর আগে বুধবার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর রাশিয়ায় প্রথমবারের মতো সামরিক খসড়ার নতুন একটি আদেশ জারি করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ওই আদেশে ‘মাতৃভূমিকে রক্ষার জন্য’ রাশিয়ায় আংশিক সেনা সমাবেশের ঘোষণা দেন তিনি।
একইসঙ্গে ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষার জন্য পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারেরও হুমকি দেন পুতিন। এমনকি এটি কোনো ফাঁকা বুলি নয় বলেও জানিয়ে দেন ভ্লাদিমির পুতিন।
রয়টার্স বলছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ইউক্রেনে যুদ্ধের মাত্রা বৃদ্ধির নিন্দা জানিয়ে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড বলেছে- রাশিয়াকে রক্ষা করার জন্য পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করার হুমকি ‘অকল্পনীয়’। এমনকি যুদ্ধের জন্য পুতিন যে যুক্তি দেখিয়েছেন সেটিকেও অসত্য বলে দাবি করেছে দেশ দু’টি।
অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী পেনি ওং জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে অংশ নিতে এখন যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। পুতিনের ওই মন্তব্যের পর বুধবার নিউইয়র্কে তিনি বলেন, ‘এই হুমকিগুলো অকল্পনীয় এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন। এছাড়া রাশিয়ার আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার বিষয়ে তার (পুতিনের) দাবিগুলোও অসত্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই অবৈধ ও অনৈতিক যুদ্ধের জন্য একমাত্র রাশিয়াই দায়ী এবং শান্তির জন্য প্রথমে রাশিয়াকে ইউক্রেনের ভূখণ্ড থেকে সরে যেতে হবে।’
এদিকে রাশিয়ার উত্তেজনা বৃদ্ধি তীব্র নিন্দা করেছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন। তিনি বলেছেন, পুতিনের অতিরিক্ত অস্ত্র ব্যবহারের এই দাবি ‘মিথ্যার মুখে উড়ে যাচ্ছে, কারণ তারা বলেছে যে, তারা (রাশিয়া) অন্যদের মুক্ত করতে সেখানে (ইউক্রেনে) আছে’।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে এখন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করা এই প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘এটি এই যুদ্ধের চারপাশে যে মিথ্যা বিরাজ করছে সেটিকেই তুলে ধরেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইউক্রেনে যা ঘটছে তা বেআইনি, এটি অনৈতিক, এটি বেসামরিক জীবনের ক্ষতির কারণ হচ্ছে। পুতিন যেমন দাবি করেছেন, তিনি এখন এই যুদ্ধে যে ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করছেন তা আরও প্রসারিত হলে এই ক্ষয়ক্ষতি আরও বাড়তে পারে।’