মিথ্যা মামলায় আসামি করে হয়রানির অভিযোগে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুছ ছালেকসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন মো. আতাউর রহমান খান নামে এক ব্যক্তি।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর মৌলভীবাজার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করেন আতাউর রহমান খান।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, ধর্ষণ মামলার বাদী তুলনা বেগম, ফাহমিদা বেগম, বানেছা বেগম, সুফিয়া বেগম ও শ্রীমঙ্গল থানার তৎকালীন ওসি মো. আব্দুছ ছালেক ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হুমায়ুন কবির।
মামলার বাদী মো. আতাউর রহমান মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার নিউ সমনবাগ চা বাগানের সাবেক ব্যবস্থাপক।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, তৎকালীন শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুছ ছালেক বাদীসহ ধর্ষণ মামলার অন্য আসামিদের হয়রানি করার জন্য পরিকল্পিতভাবে শ্রীমঙ্গলের তুলনা বেগমের দায়ের করা মিথ্যা ধর্ষণ মামলায় আসামি করেন। যা পরবর্তীতে বিভিন্ন ধাপে আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হয়। ধর্ষণের অভিযোগ এনে তুলনা বেগম ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর শ্রীমঙ্গল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন (মামলা নং ২৬/৩৬৭)। মামলায় চা বাগান ব্যবস্থাপক মো. আতাউর রহমানসহ ৬ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় মো. আতাউর রহমান কারাভোগও করেন। ধর্ষণ মামলায় প্রতিবন্ধী ইকবাল হোসেন রাসেলকে আসামি করা হয়। ওসি ছালেক ও তদন্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির নিজেদেরকে রক্ষা করার জন্য এক পর্যায়ে ধর্ষণ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনে চা বাগান ম্যানেজার মো. আতাউর রহমানসহ ৫ জনের নাম বাদ দেন।
এ বিষয়ে মামলার বাদী মো. আতাউর রহমান বলেন, একটি চক্রের পরিকল্পনায় এ মামলা দায়ের করা হয়। মিথ্যা মামলায় কারাভোগের পর ন্যায় বিচারের জন্য সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করি। কিন্তু কোনো সুবিচার পাইনি। যার পরিপ্রেক্ষিতে ন্যায় বিচারের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। ওসি আব্দুছ ছালেক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির সুপরিকল্পিত ভাবে মিথ্যা নাটক সাজিয়েছেন।
অভিযুক্ত শ্রীমঙ্গল থানার ওসি (তদন্ত) মো. হুমায়ুন কবির মামলার কথা স্বীকার করে বলেন, তদন্ত হলে প্রকৃত বিষয়টি বেরিয়ে আসবে।
অভিযুক্ত কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো আব্দুছ ছালেক বলেন, মামলার বিষয়টি শুনেছি। তবে কী কারণে আমাকে আসামি করেছেন বিষয়টি বুঝে উঠতে পারছি না।
মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, কোর্ট অফিসার ইনচার্জের মাধ্যমে মামলার বিষয়টি অবগত হয়েছি। তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।