প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সরকার বাংলাদেশের শিশুদের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য উপযুক্ত করে বিশ্ব নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের শিশুদের সত্যিকারের বিশ্ব নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমরা আগামী বছর থেকে একটি নতুন জাতীয় পাঠ্যক্রম চালু করছি।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ মহাসচিবের ট্রান্সফর্মিং এডুকেশন সামিটে সম্প্রচারিত একটি ভিডিও রেকর্ডিংয়ে জাতীয় বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
নতুন পাঠ্যক্রম শিক্ষার্থীদের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ প্রয়াস তাদের জলবায়ু সহনশীল হওয়ার বিষয়ে সচেতন করবে। পাশাপাশি দেশকে একটি উন্নত, জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতিতে পরিণত করবে। এছাড়া রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে শিশুদের সত্যিকার এজেন্ট হিসেবে গড়ে তুলবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে আমরা গবেষণা ও উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি। কারিগরি শিক্ষার জন্য আমাদের লক্ষ্য হলো, আরও ভালো সংযোগ শিল্প স্থাপন করা।
‘যোগ্যতার পারষ্পারিক স্বীকৃতির জন্য আমাদের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন। আমরা বুনিয়াদী এবং জীবনমুখী শিক্ষার সুযোগ উন্নত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর পাশাপাশি আমরা আমাদের জিডিপির অনুপাতে শিক্ষার জন্য বাজেট বরাদ্দ বাড়াতে কাজ করছি।
তিনি বলেন, বহুভাষিক শিক্ষার প্রসারে আমাদের কিছু নৃগোষ্ঠীর মাতৃভাষায় পাঠ্যপুস্তক তৈরি করা হয়েছে। আমরা মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশ থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হওয়া ও আমাদের ভূখণ্ডে আশ্রয় নেওয়া লাখ লাখ শিশুকে তাদের নিজেদের পাঠ্যসূচিতে শিক্ষা দিচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী ট্রান্সফর্মিং এডুকেশন সামিট আয়োজনের জন্য মহাসচিবকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, শীর্ষ এ সম্মেলন আমাদের কাজের ক্ষেত্রে ভবিষ্যত পরিবর্তন ও শিক্ষা সম্পর্কে নতুন চিন্তা-ধারার প্রতিফলন।
তিনি আরও বলেন, করোনা মহামারী সারাবিশ্বে শিক্ষাখাতকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। বাংলাদেশে আমরা ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে ছয় লাখ স্কুলশিক্ষার্থীকে অনানুষ্ঠানিক শিক্ষায় তালিকাভূক্ত করেছি। আমরা পাঁচ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের টিকা দেওয়া শুরু করেছি।
‘প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত প্রায় ২ কোটি ৩০ লাখ শিক্ষার্থী উপবৃত্তি ও বৃত্তি পাচ্ছে। দুপুরের খাবার ও বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আমাদের সফল কর্মসূচিগুলো অব্যাহত রাখা হবে।’