ক্ষমতা হারানোর ভয়ে সরকার পুরোপুরি উন্মত্ত হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছে সাতটি রাজনৈতিক দলের জোট ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’।
রাজধানীর বনানী ও কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে বিএনপির কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের ওপর হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দেওয়া এক বিবৃতিতে এমন মন্তব্য করেছে নতুন এ রাজনৈতিক জোট।
রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) গণতন্ত্র মঞ্চের পক্ষে এ বিবৃতি দেন জোটের অন্যতম শরীক গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
বিবৃতিতে বলা হয়, সারাদেশে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর গুণ্ডা ও পুলিশ বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে মরিয়া আক্রমণে কেবল হামলা, মারপিট, ভাঙচুর, লুটপাটই নয়, কুপিয়ে ও গুলিবর্ষণ করে হত্যা করা হচ্ছে। জনসম্মতিহীন সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয়ে ভীত হয়ে পুরোপুরি দলীয় গুণ্ডা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর নির্ভরশীল হয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাচ্ছে। পায়ের তলার মাটি সরে যাওয়ায় এ সরকার পুরোপুরি উন্মাদ হয়ে গেছে।
এতে আরও বলা হয়, নোয়াখালী থেকে কর্মসূচি করে ফেরার পথে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে বিএনপির নেতা বরকতউল্লাহ বুলুর ওপরে হামলা এবং তাকে ও তার স্ত্রীকে আহত করা নজিরবিহীন ঘটনা। পুলিশের গুলিতে নিহত নেতাকর্মীদের স্মরণে বনানীতে মোমবাতি প্রজ্বলনের মতো কর্মসূচিতেও গুণ্ডাবাহিনী দিয়ে হামলা করে মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, তাবিথ আউয়ালসহ নেতাকর্মীদের আহত করা স্পষ্ট করছে সরকার পুরোপুরি উন্মত্ত হয়ে গেছে।
‘সারা দেশে বিএনপির সভা-সমাবেশ ও নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে হামলা, বিভিন্ন জেলায় গণতন্ত্র মঞ্চের সভা সমাবেশ ও শরিক বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীদের ওপরে হামলা-মামলা, বামপন্থী দলসমূহের কর্মসূচিতে হামলা সরকারের মরিয়া অবস্থার প্রকাশ। সরকার যতই ভাবুক দমন-পীড়ন করে ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখা যাবে, কিন্তু সেটা কেবল বোকার স্বপ্ন ছাড়া আর কিছুই নয়। জনগণের উত্থানে এ অত্যাচারের স্টিম রোলার অচিরেই ভেঙে পড়বে।
বিবৃতিতে সব অত্যাচার দমন-পীড়ন, নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে জনগণের বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলা এবং ফ্যাসিবাদী সরকার ও শাসনব্যবস্থার পতনের লড়াইকে জোরদার করার আহ্বান জানানো হয়।