স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনার গোল নিয়ে দুশ্চিন্তা প্রায় দূর করে দিয়েছেন বায়ার্ন মিউনিখ থেকে আসা পোলিশ তারকা রবার্ট লেওয়ানডস্কি। তিনি মাঠে নামা মানেই যেনো গোলের তালিকায় নাম তোলা। যে ধারা বজায় রইলো এলচের বিপক্ষে ম্যাচেও।
শনিবার রাতে লা লিগার ম্যাচে ঘরের মাঠে এলচেকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা। লেওয়ানডস্কি করেছেন জোড়া গোল, মেমফিস ডিপাই করেছেন অন্যটি। এ জয়ে পয়েন্ট টেবিলেও শীর্ষে উঠে গেছে জাভি হার্নান্দেজের শিষ্যরা। ছয় ম্যাচে পাঁচ জয় ও একটি ড্র করেছে বার্সা।
ফিনিশিং আরেকটু ভালো হলে নিশ্চিতভাবেই ৫-৬ গোল দিতে পারতো কাতালান ক্লাবটি। ম্যাচের পরিসংখ্যানে সাফ দেখা যাচ্ছে, পুরো ৯০ মিনিটে গোলের জন্য ২৫টি শট করেছে বার্সেলোনা। যার মধ্যে ৯টিই ছিল লক্ষ্য বরাবর। কিন্তু জালের ঠিকানা খুঁজে পেয়েছে মাত্র তিনটি শট।
ম্যাচের শুরুতেই বার্সেলোনার কাজ সহজ করে দিয়েছিল এলচে। মাত্র ১৪ মিনিট পেরোতেই পেছন থেকে লেওয়ানডস্কিকে ফাউল করায় লাল কার্ড দেখেন গনজালো ওয়ারদুর। ফলে ম্যাচের বেশিরভাগ সময় একজন কম নিয়েই খেলতে হয় অতিথি দলকে।
তবু প্রথম গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হয় ৩৪ মিনিট পর্যন্ত। অ্যালেক্সান্দ্রো বালদের নিখুঁত পাস থেকে আলতো টোকায় জালের ঠিকানা খুঁজে নেন লেওয়ানডস্কি। মিনিট সাতেক পর বালদের আরেকটি পাস ধরে কোনাকুনি শটে বল জালে প্রবেশ করা মেমফিস।
বিরতিতে যাওয়ার আগে আরেকবার জালের ঠিকানা খুঁজে পেয়েছিল বার্সেলোনা। কিন্তু সেই গোলের আগে অফসাইডে ছিলেন পেদ্রি। তাই বাড়েনি ব্যবধান। দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে ৪৮ মিনিটের সময় দেম্বেলের পাসে ঠিকঠাক পা লাগাতে পারেননি মেমফিস। তবে আলগা বলে বাকি কাজ সহজেই সারেন লেওয়ানডস্কি।
মাত্র ৪৮ মিনিটেই নিজের দ্বিতীয় গোল করে ফেলার পর হ্যাটট্রিকের সুযোগও পেয়েছিলেন ৩৪ বছর বয়সী এ তারকা স্ট্রাইকার। কিন্তু ৭১ মিনিটের সময় সুবর্ণ সুযোগটি বাইরে মেরে বসেন লেওয়ানডস্কি। এর পরপরই তাকে উঠিয়ে নেওয়া হয়।
তবু থেমে থাকেনি বার্সার আক্রমণ। ম্যাচের ৮০ মিনিটের দিকেও জোরালো আক্রমণে দারুণ এক সুযোগ পায় তারা। কিন্তু সেটিও কাজে লাগানো সম্ভব হয়নি। পুরো ম্যাচ আক্রমণ সামাল দিতে ব্যস্ত থাকা এলচে ম্যাচের শেষ মিনিটে এগিয়ে একমাত্র আক্রমণ করে। যা ছিল নিষ্ফলা।
এই জয়ের পর ছয় ম্যাচে পাঁচ জয় ও এক ড্রতে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে বার্সেলোনা। এক ম্যাচ কম খেলে রিয়ালের সংগ্রহ ১৫ পয়েন্ট। আজ অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে হারাতে পারলে শীর্ষস্থান ফিরে পাবে লা লিগার বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।