তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বক্তব্যে প্রমাণিত হয়েছে, তারা পাকিস্তানের এজেন্ট।
তিনি বলেন, ‘গত পরশু ফখরুল সাহেব বক্তব্যে বলেছেন, পাকিস্তানই ভালো ছিল। এতে তিনি প্রমাণ করেছেন তিনি ও তার দল (বিএনপি) পাকিস্তানের এজেন্ট।’
শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা অডিটোরিয়ামে উপজেলা কৃষক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেবরা আসলে হৃদয়ে পাকিস্তানকেই ধারণ করেন। তারা হচ্ছেন বাংলাদেশে পাকিস্তানের এজেন্ট। দেশকে পাকিস্তানের এজেন্টদের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। তারা যদি আবার সুযোগ পান, তাহলে দেশটাকে আবার পাকিস্তান বানিয়ে ফেলার চেষ্টা করবেন। সুতরাং তাদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। বাংলাদেশে পাকিস্তানি এজেন্টদের কোনো জায়গা নেই।’
হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে দেশের কৃষকরা ভালো আছেন। দেশের মানুষ ভালো আছেন। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এজন্য আবার অনেকের মন খারাপ। সমগ্র পৃথিবী আজকে বাংলাদেশের প্রশংসা করছে। এমনকি পাকিস্তানও প্রশংসা করছে। কিন্তু এতে অনেকের মন খারাপ। আর সেই মন খারাপের দলের নেতা হচ্ছেন বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব।’
মন্ত্রী আরও বলেন, পাকিস্তান আজকে আমাদের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে, যেই পকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আমাদের প্রশাংসা করেছেন বারবার। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফও বাংলাদেশের প্রশংসা করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশাংসা করে বলছেন, বাংলাদেশ আমাদের পেছনে ফেলে বহুদূর এগিয়ে গেছে। পাকিস্তানের টেলিভিশনে আলোচনায় শেখ হাসিনার প্রশংসার ঝড় ওঠে।
আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজকে কৃষকরা তাদের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন। কৃষিতে সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে। প্রতি অর্থবছরে হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয় সরকার। অথচ বিশ্বব্যাংক আইএমএফ সরকারকে কৃষিতে ভর্তুকি প্রত্যাহারের পরামর্শ দিয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনা কৃষকের কথা চিন্তা করে হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়ে চলেছেন।
তিনি বলেন, সেই কারণেই ছোট দেশ হওয়ার পরও আমরা আজকে খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। গত অর্থবছরে দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি কৃষিপণ্য আমরা রপ্তানি করেছি। আমাদের লক্ষ্য গার্মেন্টস এবং অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে কৃষিপণ্যও রপ্তানি হবে। ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশে আসার পর ১৯৮৩ সালে বৃক্ষরোপণ শুরু করেছিলেন। কৃষক লীগের মাধ্যমে দেশে বৃক্ষরোপণকে আন্দোলনে রূপান্তর করেছেন তিনি।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আবদুল মান্নান তালুকদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব রানার সঞ্চালনায় সম্মেলনে উদ্বোধক ছিলেন উত্তর জেলা কৃষক লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান।
সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সহ-সভাপতি আকবর আলী চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা, সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক আরমান চৌধুরী, জাতীয় পরিষদ সদস্য মোতাহের হোসেন বাবুল, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা কৃষক লীগের সভাপতি আতিকুর রহমান চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার।
এতে প্রধান বক্তা ছিলেন উত্তর জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম।