চীনের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে দেশটির মুদ্রা ইউয়ান (সিএনআই) দিয়ে লেনদেন করতে দেশের এডি ব্যাংকগুলো অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে। অনুমোদিত এসব ডিলার শাখার মাধ্যমে বৈদেশি লেনদেনও নিষ্পত্তি করা যাবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দিয়েছে।
এর আগে ২০১৮ সালেও চীনের সঙ্গে লেনদেন সহজ করতে ইউয়ান দিয়ে সরাসরি আমদানি ও রপ্তানি দায় নিষ্পত্তির জন্য ক্লিয়ারিং অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।
বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে নিয়োজিত সব অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকে পাঠানো নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এডি শাখাগুলো চীনের ব্যাংকের সঙ্গে ইউয়ান মুদ্রায় ব্যাংক হিসাব খুলতে পারবে। অর্থাৎ এখন থেকে মার্কিন ডলার, ইউরো, জাপানি ইয়েন, যুক্তরাজ্যের পাউন্ড ও কানাডিয়ান ডলারের মতো প্রয়োজনীয় ইউয়ান কিনতে ও লেনদেন সম্পন্ন করতে পারবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, চীনের সঙ্গে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাড়াতে ২০১৮ সালে ইউয়ানে লেনদেন ও এডি ব্যাংকগুলোকে দায় নিষ্পত্তির জন্য হিসাব খোলার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। নতুন নির্দেশনা দিয়ে আগের সুযোগকে আরও বড় পরিসরে করা হলো। এর ফলে দেশটির সঙ্গে আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যে দেশি ব্যাংকগুলোর ইউয়ান দিয়ে লেনদেন করা সহজ হবে।
২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) রিজার্ভ মুদ্রা হিসেবে মর্যাদা পায় ইউয়ান। ডলার, ইউরো, জাপানি ইয়েন ও ব্রিটিশ পাউন্ড স্টার্লিংয়ের পর আইএমএফের পঞ্চম রিজার্ভ মুদ্রা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি দেশ চীনের ইউয়ান।