আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনার অত্যন্ত বিশ্বস্ত সহকর্মী ছিলেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। তিনি দেশের রাজনীতির একটা বড় অধ্যায় জুড়ে রয়েছেন। তার শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মরদেহে দলের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধিকার আন্দোলন, স্বাধীনতার সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনে তিনি ছিলেন সৈনিক। স্বাধীনতা পরবর্তী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশ পুনর্গঠন, রক্তাক্ত ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর প্রতিটি সংকটে তিনি দলের পাশে ছিলেন।
এসময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে তার নিজ নির্বাচনী এলাকা ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার মহেন্দ্র নারায়ণ একাডেমি মাঠে জানাজা শেষ হয়।
মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকের সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী কর্মময় জীবনের অবসান হয় রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টা ৪০ মিনিটে। রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। কিছুদিন আগে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয় তাকে। বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে স্মৃতিশক্তিও হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।