খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ মজুমদার বলেছেন, নিরাপদ খাদ্যের জন্য ল্যাবরেটরি প্রয়োজন আছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ৮ বিভাগে ৮টি ল্যাবরেটরি তৈরি করা হচ্ছে। আমরা ভ্রাম্যমাণ ল্যাবরেটরি প্রকল্প নিয়েছি, সেটাও করছি। এর বাইরে জাইকার অর্থায়নে বিশ্বমানের ল্যাবরেটরি নারায়ণগঞ্জে তৈরি হচ্ছে।
রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এবং মার্কিন কৃষি বিভাগ আয়োজিত ‘ফুড অ্যান্ড কেমিক্যাল ল্যাব এক্সপো ২০২২’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বর্তমানে আমরা পেট ভরে ভাত খেতে পারি। কিন্তু আমাদের এখন দরকার পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্যের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালে নিরাপদ খাদ্যের বিষয় আইন পাস করেছেন এবং ২০১৫ সাল থেকে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে দেশের প্রতিটা জেলায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের অফিস রয়েছে। সরকার নিরাপদ খাদ্যের জন্য নিরলসভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা অনিরাপদ খাদ্যকে খাদ্য হিসেবে মানতে চাই না। যে খাদ্য খেলে মানুষ অসুস্থ হয়, সেটা খাদ্য হতে পারে না। আমরা যদি খাদ্যকে নিরাপদ করতে পারি তাহলে বাণিজ্যিকভাবে আমরা প্রসার লাভ করব। কৃষকের উৎপাদন থেকে শুরু করে খাবারের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত যেকোনো জায়গায় এসে খাবার অনিরাপদ হতে পারে। সেটা হতে পারে আমাদের বাসার ফ্রিজে, আমাদের খাবার টেবিলে। সেজন্য আমাদের সচেতনতা বৃদ্ধি করার প্রয়োজন আছে। আমাদের দেশে যেসব কোম্পানি খাদ্য প্রসেসিং করে বিদেশে রপ্তানি করে তাদেরও সচেতন হতে হবে।
তিনি বলেন, খাদ্যে আমরা অনেক সময় রং মেশাই। সেই রং খাদ্যের জন্য উপযোগী কি না সেটা আমাদের ভাবতে হবে। খাদ্যে মেশানোর যে রং, সেটার অনেক দাম। যার ফলে আমাদের অনেকে সেই রং ব্যবহার না করে কম দামিটা ব্যবহার করে। আর এই রং ব্যবহার করলে খাদ্য অনিরাপদ হয়। ল্যাবে পরীক্ষা করলে আমরা তাই পাই। এর জন্য শুধু আইন প্রয়োগ করলেই হবে না, আমাদের সচেতন থাকতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের অনেক প্রসেসিং ফুড বিদেশে যায়। কিন্তু আমরা ওয়ার্ল্ড মার্কেটে জায়গা করে নিতে পেরেছি কি না সে বিষয়টি আমাদের দেখতে হবে। বিশ্বের যে সব জায়গায় বাঙালিরা বসবাস করে তাদের মার্কেট আমরা ধরতে পেরেছি। কিন্তু বিশ্ব মার্কেটটা ধরতে পারিনি। ফুড অ্যান্ড ল্যাব এক্সপোর মাধ্যমে আমরা এটাকে আরও এগিয়ে নিতে পারব।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব জিয়াউল হাসান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন, ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন হেলেন লাফেভ, এফবিসিসিআইর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন এবং বাংলাদেশ ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন প্রকল্পের পরিচালক মাইকেল জে পার।