সরকারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষ গর্জে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম।
তিনি বলেছেন, আমাদের প্রতিশোধ একটাই গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা, এ মুহূর্তে সরকারকে পদত্যাগ করানো। আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে। এ আন্দোলনে আমাদের বিজয় নিশ্চিত। ভোলায় রহিম (স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আব্দুর রহিম) প্রাণ দিতে দ্বিধা করেনি। আমরাও কেউ প্রাণ দিতে দ্বিধা করবো না।
রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আব্দুল্লাহপুর পলওয়েল মার্কেটের সামনে বিএনপি ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, গত ১৫ বছর ধরে সরকার গুম-খুন করে জনগণকে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। আবার একটা নির্বাচন আসছে, এটা নিয়ে পায়তারা করছে। ইভিএম দিয়ে তারা নির্বাচন করতে চায়। পরিষ্কার করে বলছি, এই আওয়ামী লীগ থাকলে, হাসিনা সরকার থাকলে নির্বাচন হবে না। এ মুহূর্তে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে।
তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে এ সরকার সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে ফেলেছে। পার্লামেন্ট আছে যেটাকে আমরা রাবার স্টাম্প পার্লামেন্ট বলি। সংসদে জনগণের বিষয় নিয়ে কথা হয় না, একজনকে নিয়ে শুধুমাত্র তোষামতি হয়। বিচার বিভাগে মানুষ বিচার পায় না। অন্যায়ভাবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়া হয়েছে। কারণ, খালেদা জিয়াকে সরকার ভয় পায়। খালেদা জিয়া রাস্তায় নামলে হ্যামিলিয়নের বাঁশিওয়ালার মতো লক্ষ লক্ষ মানুষ রাজপথে নামবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার অর্থনীতি ধ্বংস করে দিয়েছে। জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে। ব্যবসায়ীরা ভালো নেই। রিজার্ভ নিয়ে সরকার বেশ লাফালাফি করেছিল। রিজার্ভ কমতে কমতে তলানিতে নেমেছে। যা তিনমাসও চলবে না। ব্যাংক খালি করে দিয়েছে। সাধারণ মানুষ ব্যাংককে নিরাপদ বোধ করছে না। বিদেশি বিনিয়োগ নেই। গত বছর বাংলাদেশ থেকে ৮৫ হাজার কোটি টাকা সরকারের লোকজন পাচার করেছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র র্যাবের সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্যাংশন দিয়েছে। এটা জাতির জন্য লজ্জার। অথচ তাদের (সরকারের) লজ্জা হয় না, তারা এ নিয়ে লাফালাফি করে।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের পুলিশের কাছে চাইনিজ রাইফেল কীভাবে গেল, এটার ব্যাখ্যা আমরা এখনো পর্যন্ত সরকারের কাছ থেকে পাইনি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে পাইনি।
আইন না মেনে মানবাধিকার লংঘন করলে র্যাবের মতো যে কোনো বাহিনীর ওপর স্যাংশন আসতে পারে বলেও সতর্ক করেন মির্জা ফখরুল।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য রাখেন।