এশিয়ান ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট উঠবে কার মাথায়? পাকিস্তান না শ্রীলঙ্কা? রোববার রাতে জমজমাট ফাইনালের মধ্য দিয়ে নির্ধারিত হবে এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন হবে কারা।
এশিয়া কাপ ক্রিকেটের ফাইনাল খেলবে পাকিস্তান- এটা অনেকেরই ধারণা ছিল; কিন্তু শ্রীলঙ্কা ফাইনাল খেলবে- এটা অনেকে চিন্তাই করতে পারেনি।
কারণ, দলটির সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স। কিন্তু এশিয়া কাপে এসে ভোজবাজির মত সব উল্টে গেলো। ভারতের মত শক্তিশালী দলকে ছিটকে দিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে ফাইনাল খেলছে শ্রীলঙ্কাই।
রোববার দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় শুরু হবে পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা ফাইনাল। এই ম্যাচের আগে অবশ্য শুক্রবার সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানকে ১৮ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়ে একটা বার্তা দিয়ে রাখলো শ্রীলঙ্কা।
শ্রীলঙ্কা ফাইনাল খেলবে, তা কে ভেবেছিল? উদ্বোধনী ম্যাচে যেভাবে আফগানিস্তানের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছিল, তাতে তাদেরকে প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নেয়ার কাতারে রেখেছিল সবাই। মাত্র ১০৫ রানে অলআউট হয়েছিল লঙ্কানরা। জবাবে ১০.১ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় আফগানরা।
সেই শ্রীলঙ্কা গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের করা ১৮৩ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়। ওই ম্যাচে বাংলাদেশের বোলার এবং ফিল্ডারদের বদান্যতায় জয় পেয়েছিল লঙ্কানরা। না হয়, ফাইনালে আগামীকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে থাকতো অন্য কোনো দল।
সুপার ফোরে এসেই বিধ্বংসী হয়ে উঠেছে লঙ্কানরা। প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারিয়ে নিলো প্রতিশোধ। আফগানদের করা ১৭৫ রান তাড়া করে জিতেছিল তারা। এরপর হারিয়ে দিয়েছে ভারতকেও। আফগানিস্তানকে পাকিস্তানের হারানোর মধ্য দিয়ে ভারত এবং আফগানদের বিদায় হয়, ফাইনাল নিশ্চিত হয় পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার।
সুপার ফোরের শেষ ম্যাচের গুরুত্ব কম থাকলেও এই ম্যাচে জয়ের মধ্য দিয়ে নিজেদেরকে ফাইনাল শেষে শেষ হাসি হাসারও যোগ্য দাবিদার করে তুলেছে দাসুন শানাকার দল। দলটি যেভাবে শেষ চার ম্যাচ খেলেছে, তাতে ফাইনালে তাদেরকে ফেবারিট ধরেই নেয়া যায়।
অন্যদিকে পাকিস্তানও শুরু করেছিল হার দিয়ে। ভারতের কাছে হেরেছিল ৫ উইকেটের ব্যবধানে। এরপর হংকংকে হারিয়ে সুপার ফোরে ওঠে তারা। এখানে আবারও ভারতের মুখোমুখি এবং এবার তারা উল্টো হারায় ভারতকে। এখানেও পাকিস্তান জয়লাভ করে ৫ উইকেটে।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে শ্বাসরূদ্ধকর ম্যাচে শেষ মুহূর্তে নাসিম শাহর টানা দুই ছক্কায় ১ উইকেটে জয় তুলে নেয় পাকিস্তান। শেষ ম্যাচে যদিও হেরেছে বাবর আজমের দল। কিন্তু এই দলটি যে কোনো সময় ঘুরে দাঁড়াতে পারে। সুতরাং, ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে এগিয়ে রাখার কোনোই সুযোগ নেই।
সে অর্থে নিরঙ্কুশ ফেবারিট নয় কেউই। যদিও, ম্যাচের ভাগ্য অনেকটাই নির্ধারণ হবে টসের সময়। কারণ, দুবাইতে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া এবং রান তাড়া করে জয় পাওয়াটা অনেক সহজ। সুতরাং, টসই হয়তো বলে দেবে, কে হবে চ্যাম্পিয়ন। সুতরাং, ফাইনালে বলা চলে- পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা দু’দলেরই প্রতিপক্ষ টস নামক ভাগ্যের খেলা।
দেখা যাক, এই খেলায় কার ভাগ্য সহায় হয় এবং কে জেতে!