ব্যবসা বাণিজ্য ও বিনিয়োগ পরিস্থিতি আরো উন্নত করার তাগিদ দিয়েছে জাপান। এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে জাপানের বিনিয়োগ তুলনামূলক কম জানিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলছেন, কার্যকর উদ্যোগ ও কিছু নীতি সংস্কার করলে এক দশকে দশগুণ বাড়তে পারে বিনিয়োগ। বাংলাদেশ জাপানি উদ্যোক্তাদের কাঙ্খিত বিনিয়োগ গন্তব্য জানিয়ে জাপানের রাষ্ট্রদূত বলছেন, আড়াইহাজার ইকোনমিক জোন চালু হলে এক বিলিয়ন ডলার বাড়বে জাপানের বিনিয়োগ।
ডিসেম্বরেই চালু হচ্ছে মেট্রোরেল জাপানের উন্নয়ন সংস্থা জাইকা’র অর্থায়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে এ প্রকল্প। কক্সবাজারের মাতারবাড়িতে কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প ছাড়াও সমুদ্র বন্দরসহ অন্যান্য অবকাঠামো বাস্তবায়ন করছে দেশটি। নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে চালু হচ্ছে বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল, যেখানে বিনিয়োগ আসছে এক বিলিয়ন ডলার। জাপান বলছে, আসিয়ানসহ এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে তাদের বিনিয়োগ কম। এটি বাড়াতে টোকিওর আগ্রহের কথাও জানান রাষ্ট্রদূত।
জাপানি রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন, আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের সাথে জাপানের ব্যবসা-বাণিজ্য বিনিয়োগ অনেক কম। বাংলাদেশ আমাদের বিনিয়োগকারীদের পছন্দের গন্তব্য। এটি বাড়াতে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি ও ইপিএ এর মতো উদ্যোগ দরকার। এসব করা গেলে ভবিষ্যতে কয়েকগুণ এমনকি এক দশকে দশগুণ পর্যন্ত জাপানি বিনিয়োগ বাড়তে পারে বাংলাদেশে।
তিনি জানান, গার্মেন্টস শিল্পের পাশাপাশি অবকাঠামো, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও অবকাঠামো খাতে বড় বিনিয়োগে আগ্রহী জাপানি ব্যবসায়ীরা। সেক্ষেত্রে ভিয়েতনাম ও ভারতের মতো দেশগুলো বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বী উল্লেখ করে করসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়া সহজ করার তাগিদ দিয়েছেন জাপানি রাষ্ট্রদূত।
জাপানি রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি আরও বলেন, ব্যবসা বাণিজ্যের পরিবেশ, বিনিয়োগ পরিস্থিতির মতো জায়গায় অবশ্যই আরো উন্নতি করতে হবে বাংলাদেশকে। স্থানীদের সাথে বিদেশি উদ্যোক্তাদের সুযোগ-সুবিধার অনেক পার্থক্য। ভিয়েতনাম, ভারত ও ফিলিপাইনের মতো দেশগুলো আপনাদের প্রতিদ্বন্দ্বি। এটা মাথায় রেখে কর ও শুল্ক কাঠামোসহ সুযোগ-সুবিধা আরও আকর্ষণীয় করতে হবে বাংলাদেশকে। বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-বিডা’র ওয়ানস্টপ সার্ভিসের প্রশংসা করে জাপান বলছে, চলমান বিনিয়োগ আকর্ষণ কার্যক্রম জোরদার করতে ব্র্যান্ডিংয়ে বাংলাদেশের মনযোগ বাড়ানো জরুরি।