আজ (৮ সেপ্টেম্বর) ৮৯ বছরে পা দিলেন গায়িকা আশা ভোঁসলে। তাঁর কণ্ঠ এবং গানের ভক্ত অগুণিত। ১৯৩৩ সালে এই দিনে সাংলিতে জন্মগ্রহণ করেন আশা। তিনি একজন গায়িকা, উদ্যোক্তা এবং অভিনেত্রীও।
হিন্দি সিনেমার কিংবদন্তি গায়িকা লতা মঙ্গেশকরের বোন আশা ভোঁসলের জীবনে অনেক উত্থান-পতন ছিল। শৈশবটা মোটেই সুখের ছিল না তাঁর। গায়িকা হিসেবে নিজের জায়গা তৈরি করা আশার পক্ষে সহজ ছিল না। আশার জীবনের গল্প আমরা সবাই কমবেশি শুনেছি, কিন্তু তাঁর রান্নার শখ নিয়ে তেমন কোনও আলোচনা শোনা যায়নি।
আশা ভোঁসলের কণ্ঠ যতটা সুন্দর, রান্নার গুনমুগ্ধের সংখ্যাও রয়েছে প্রচুর। একাধিক ভিডিও রিপোর্ট অনুসারে, আশা তাই রান্না করতে খুব ভালোবাসেন। অনেক তারকা তাঁর হাতে তৈরি কড়াই মাংস এবং বিরিয়ানি পছন্দ করেন। একটি সাক্ষাত্কারে, প্রবীণ গায়িকা নিজেই বলেছিলেন, তিনি গায়িকা না হলে নিশ্চিতভাবে রাঁধুনি (শেফ) হতেন।
১৯৪৩ সালে গানের ক্যারিয়ার শুরু করেন আশা। ২০০০ সালে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার এবং ২০০৮ সালে পদ্মবিভূষণ সম্মানে সম্মানিত তিনি। ১২ হাজারেরও বেশি গানের রেকডিং করেছেন তিনি।
আশা ভোঁসলে একটি চেইন রেস্তোরাঁর মালিক। কিংবদন্তি গায়িকার দুবাই ও কুয়েতে ‘আশা’স নামে রেস্তোরাঁ রয়েছে। এছাড়া আবুধাবি, দোহা, বাহরাইনেও তাঁদের রেস্তোরাঁ রয়েছে। এই রেস্তোরাঁয় ভারতীয় খাবার বিশেষভাবে পরিবেশন করা হয়। শুধু তাই নয়, আশা নিজেই সেখানকার শেফদের নিখুঁত স্বাদ এবং গন্ধের জন্য প্রশিক্ষণ দেন। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাবুর্চি রাসেল স্কট যুক্তরাজ্যের জন্য আশা ব্র্যান্ডের স্বত্ব কিনেছেন। এর আওতায় ‘আশা’ নামে প্রায় ৪০টি রেস্তোরাঁ খোলার পরিকল্পনা রয়েছে গায়িকার।
ব্যক্তিগত জীবনের দুবার বিয়ে করেছেন এই গায়িকা। প্রথম বিয়ে হয়েছিল গণপত রাওয়ের সঙ্গে, যিনি ছিলেন লতা মঙ্গেশকরের পিএ। গায়িকার পুরো পরিবার এই বিয়ের বিপক্ষে ছিল, কিন্তু জেদ করেই নিজের থেকে দ্বিগুণ বয়সী গণপতকে বিয়ে করেন আশা। তাঁদের দুই পুত্র এবং এক কন্যা সন্তান রয়েছে। এরপরে বিখ্যাত সংগীতশিল্পী আর ডি বর্মণকে বিয়ে করেন আশা। বর্মন ছিলেন আশার থেকে ৬ বছরের ছোট।