ইয়াসিন আরাফাতের বাবার নাম মতলেব সরদার। তার গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরায়। ১৭ বছর ধরে তিনি মনিরামপুরের গালদা মানিকতলায় স্ত্রী ও এক শিশু ছেলেকে নিয়ে থাকতেন।
ইয়াসিনের স্ত্রী জোসনা খাতুন বলেন, আমার নানার অসুস্থতার কথা শুনে ছেলেকে নিয়ে বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পাশের দিঘীরপাড় গ্রামে যাই। রাতে ইয়াছিন বাড়িতে একা ছিলেন। ভোরে নানার মৃত্যু হলে তাকে বেশ কয়েকবার কল করেও পাইনি। পরে শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে বাড়ি এসে দেখি নলকূপের পাশে তার বিবস্ত্র মরদেহ পড়ে আছে।
স্থানীয়রা জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাইক্রোবাস নিয়ে বাড়ি আসেন ইয়াসিন। তার বাড়ি প্রাচীরে ঘেরা। ভেতর দিয়ে বাড়ির মূল ফটকে তালা দেওয়া ছিল। সকালে ইয়াসিনের স্ত্রী গেট খুলে কলপাড়ে স্বামীকে পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দেন।
খেদাপাড়া ক্যাম্পের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) সৌমেন বিশ্বাস বলেন, রাতে ইয়াসিনের স্ত্রী বাড়িতে ছিলেন না। মরদেহের গলায় ও পিঠে দাগ রয়েছে। মরদেহের পাশে একটি ইনজেকশনের সিরিঞ্জ পাওয়া গেছে। দেহে সুচ ফুটানোর স্থান পাওয়া যায়নি। এটা হত্যা না আত্মহত্যা কিছু বোঝা যাচ্ছে না।
মনিরামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গাজী মাহবুবুর রহমান বলেন, মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।