বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, দেশে গুম এখন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূল করার প্রধান হাতিয়ার হয়ে দাঁড়িয়েছে। অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারীরা এই হাতিয়ার ব্যবহার করছে। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে অব্যাহতভাবে গুম করা হচ্ছে বিভিন্ন পেশার মানুষকে। মানুষের এখন জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই।
তিনি বলেন, গুম হওয়াদের মধ্যে কয়েকজনকে ফেরত দিলেও বাকিরা এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। সাবেক এমপি ইলিয়াস আলী, সাইফুল ইসলাম হিরু, কাউন্সিলর চৌধুরী আলম, চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর নজরুল ইসলাম বাচাসহ ছাত্র, যুবক, মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিক, মুক্তমনা মানুষকে গুম করা হয়েছে। এসব গুমের সাথে রাষ্ট্র জড়িত। দেশের শত শত গুমের হোতা হচ্ছে সরকারি এজেন্সিগুলো। গুম হওয়া পরিবারগুলো অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছে তাদের প্রিয়জনকে ফেরত পাওয়ার জন্য।
মঙ্গলবার (৩০ আগষ্ট) দুপুরে নগরীর কাজীর দেউরী নুর আহম্মদ সড়কে ‘আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস’ উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মানববন্ধনে গুম হওয়া বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম বাচা চেয়ারম্যানের স্ত্রী সন্তানসহ অন্যান্য গুম হওয়া পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এতে প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকার বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই গুমের শিকার হয়েছে বিরোধীদলের অসংখ্য নেতাকর্মীরা। গুম করা মানবতাবিরোধী অপরাধ এটা আন্তর্জাতিক আইনে স্বীকৃত। দেশে গণতন্ত্র ফিরে এলেই জবাবদিহিতা ফিরবে এবং গুমের অবসান হবে।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্রের নিপীড়নের সব অস্ত্র এখন বিএনপির বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে। হত্যা, গুম থেকে শুরু করে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর মতো কর্মসূচি অত্যন্ত সফলভাবে বাস্তবায়ন করছে আওয়ামী সরকার। নিজেদের ক্ষমতাকে কন্টকমুক্ত করার জন্য বিরোধীদলের অস্তিত্বকে দেশ থেকে সম্পূর্ণভাবে মুছে ফেলতে সব শক্তি নিয়োগ করেছে তারা।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের পরিচালনায় মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এস এম সাইফুল আলম, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইস্কান্দার মির্জা, আবদুল মান্নান, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ হালিম, অধ্যাপক ইউনুস চৌধুরী প্রমুখ।