আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপের ‘হোম’ জার্সি কেমন হবে, সেটা জানা গিয়েছিল আগেই। গেল জুলাইয়ে সবার আগে প্রকাশ পেয়েছিল লিওনেল মেসিদের আকাশি সাদা রঙা জার্সিটি। তবে অপেক্ষা ছিল ‘অ্যাওয়ে’ জার্সির। সেই অ্যাওয়ে জার্সিটা এবার ‘শক্তিশালী’ এক বার্তা দিয়েই প্রকাশ করল বর্তমান কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়নরা।
গতকাল ২৯ আগস্ট এই জার্সি প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে এর মডেল হিসেবে ছিলেন খোদ লিওনেল মেসি। গতানুগতিক আর্জেন্টিনা অ্যাওয়ে জার্সির রঙ নেভি ব্লু কিংবা কালো থেকে বেরিয়ে ভিন্ন রঙে করা হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে বলা হচ্ছে এই রঙের নাম লেগ্যাসি ইন্ডিগো বা পার্পল রাশ। এই রঙের জার্সি এবারই প্রথম পরতে যাচ্ছে আলবিসেলেস্তেরা।
হালকা বেগুনিরঙা এই জার্সিতে মূলত ব্যবহৃত হয়েছে তিনটি রঙ। জার্সির রঙ বেগুনি, অনেকটাই হালকা বেগুনি রঙে দেওয়া হয়েছে এর জলছাপ, আর জার্সি স্পনসর অ্যাডিডাস ও আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের লোগো ছাপা হয়েছে রুপালি রঙে।
আর্জেন্টিনার ‘হোম’ জার্সির মতোই এর কাঁধে আছে তিনটি স্ট্রাইপ, এর রঙ অনেকটাই হালকা বেগুনি। একই রঙে জার্সিটির সামনের দিকে আছে বেশ কিছু অনিয়মিত স্ট্রাইপ; বলা হচ্ছে আর্জেন্টিনার পতাকায় থাকা ‘সোল দে মায়ো’ বা মে মাসের সূর্যের ছাপ বসানো হয়েছে সেখানে।
আর্জেন্টিনার জার্সি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাস জানাচ্ছে, জার্সিটি এমন রঙে বানানোর পেছনে আছে শক্তিশালী একটা বার্তা দেওয়ার চেষ্টা। তাদের মতে, এই বেগুনি রঙটি মূলত প্রতিনিধিত্ব করছে লিঙ্গ সমতার।
অ্যাডিডাস আর্জেন্টিনার জেনারেল ম্যানেজার পাবলো ল্যামো এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আর্জেন্টিনা দলের নতুন অ্যাওয়ে জার্সিটি শক্তিশালী একটা বার্তা ছড়িয়ে দিতে চেয়েছে। লিঙ্গ সমতার বার্তা দিতে চেয়েছে, সঙ্গে আছে বৈচিত্র্য আর অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজের মূল্যবোধও যা আমাদের ব্র্যান্ড প্রচার করে।’
সেই বিবৃতিতে আরও যোগ করা হয়, ‘খেলাধুলার মাধ্যমে আমরা মানুষের জীবন বদলে দেওয়ার সুযোগ পাই। ফুটবল হচ্ছে এমন একটা আদর্শ মাধ্যম, যাকে দিয়ে বাস্তবতাকে বদলে দেওয়া সম্ভব।’
এই বার্তা দিয়েই শেষ নয়। অ্যাডিডাসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বলা হচ্ছে, এই জার্সির তন্তুতে ব্যবহার সাগর থেকে উদ্ধার করা প্লাস্টিক। প্লাস্টিক বর্জ্যগুলোকে বিভিন্ন দ্বীপ, সাগরতীর, সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে সাগরকে দূষিত করার হাত থেকে রক্ষা করা হয়েছে। সেই প্লাস্টিক বর্জ্য পরিশোধন করে ব্যবহার করা হয়েছে এই জার্সিতে। যার মাধ্যমে পরিবেশ বিষয়ক সচেতনতাও বাড়ানোর চেষ্টা করেছে অ্যাডিডাস।