গাজীপুরে হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ কর্মসূচি পুলিশি অ্যাকশনে পণ্ড হয়ে গেছে। এ সময় হেফাজত কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ টিয়ারশেল ও শটগানের গুলি করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে সাত পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হন। শুক্রবার (২ এপ্রিল) গাজীপুর মহানগরের চৌরাস্তা জামে মসজিদ এলাকায় ওইসব ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার বেলা ১১টা থেকেই গাজীপুর চৌরাস্তা ও বোর্ডবাজার জামে মসজিদের চারপাশে পুলিশ সশস্ত্র সতর্ক অবস্থানে থাকে। জুমার নামাজের শেষে দুপুর ২টার দিকে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করতে হেফাজত কর্মীরা গাজীপুর চান্দনা চৌরাস্তা জামে মসজিদ থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে উঠতে চায়। পরে পুলিশি বাধায় কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপির) উপকমিশনার (অপরাধ-উত্তর) শরীফুর রহমান জানান, হেফাজতে ইসলামের পূর্ব নির্ধারিত বিক্ষোভ কর্মসূচি মসজিদ চত্বরেই পালনের অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তারা মহাসড়কে ওঠার চেষ্টা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এর একপর্যায়ে পেছন থেকে হেফাজতকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। পরে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিপেটা, শতাধিক রাউন্ড টিয়ারশেল ও শটগানের গুলি করা হয়। এ ঘটনায় কেউ নিহত হননি। ইটপাকেলের আঘাতে পুলিশের সাত সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের স্থানীয় ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় জড়িত বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাৎক্ষণিক তাদের নাম-পরিচয় নোট করা হয়নি।
স্থানীয়রা জানায়, এ ঘটনায় ওই দুটি মসজিদের আশপাশের এলাকা প্রায় দুই ঘণ্টার মতো জনশূন্য হয়ে পড়ে। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে পরিবেশ স্বাভাবিক হয়। এদিকে, বিক্ষোভকারীদের পক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ ভিডিওসহ পোস্ট দেওয়া হয়। ওই সব পোস্টে শান্তিপূর্ণ মুসল্লিদের ওপর মসজিদের মাঠে অবস্থান নিয়ে পুলিশ গুলি করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
গাজীপুর জেলা হেফাজতে ইসলামের সভাপতি মাওলানা মাসুদুল করিম বলেন, ‘বোর্ড বাজার এলাকায় তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি সম্পন্ন হয়েছে। শুনেছি চৌরাস্তা জামে মসজিদ থেকে কে বা কারা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে। তাদের মধ্যে আমাদের কেউ ছিল কিনা মসজিদের ইমাম সাহেব নিশ্চিত করে বলতে পারেননি, তিনি কাউকে চেনেন না। সেখানে ১৫ থেকে ২০ জনের মতো আহত হয়েছেন। তবে ওই মসজিদে হেফাজতের পক্ষ থেকে কোনও কর্মসূচি ছিল না।’