প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের সহধর্মিণী মেহের আফরোজ শাওনের সঙ্গে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ করা মামলায় গ্রেপ্তার আসামি রবিউল ইসলামকে (৪১) কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
শনিবার (২৭ আগস্ট) ঢাকা মহানগর হাকিম তরিকুল ইসলামের আদালত আসামিকে কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা উপপরিদর্শক শরিফুল ইসলাম বিষয়টি জানিয়েছেন। এদিন রিমান্ড শেষে আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।
এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) আদালত তার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, জনৈক প্রতারক নিজেকে ডেপুটি স্পিকার পরিচয় দিয়ে শাওনকে ফোন করে জানান, নুহাশপল্লীর উন্নয়নবাবদ অস্ট্রেলিয়া থেকে বড় অংকের একটি ফান্ড এসেছে, যা বর্তমানে অর্থ মন্ত্রণালয়ে জমা আছে। এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন উপসচিবের মোবাইল নম্বরে তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। শাওন ওই মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করলে অন্য প্রান্ত থেকে নিজেকে উপসচিব পরিচয় দিয়ে ফান্ড ট্রান্সফারের জন্য সরকারি ফি বাবদ ৩১ হাজার ৮৫০ টাকা দিতে বলেন। ফাঁদে পা দেন শাওন। টাকা দিয়ে দেন প্রতারককে। প্রতারকের নম্বর বন্ধ পেয়ে বিষয়টি বুঝতে পেরে নুহাশ পল্লীর ম্যানেজার বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন। এরপর গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন ও ভুয়া রেজিস্ট্রেশন করা চারটি সিমকার্ড জব্দ করে ডিবি।