ফুটবলে ব্রাজিলের ইতিহাসটা বেশ সমৃদ্ধ। পুরুষদের বিশ্বকাপের সবচেয়ে বেশি বারের চ্যাম্পিয়ন, নারীদের বিশ্বকাপে শিরোপা না জিতলেও ফাইনাল খেলেছে একবার, কোপা আমেরিকার রেকর্ডবারের চ্যাম্পিয়নও দলটি।
তবে নারীদের অ-২০ বিশ্বকাপ শিরোপাটা বরাবরই হতাশ করেছে ফুটবলের অন্যতম শক্তিধর এই দেশকে। শিরোপা জেতা তো দূরের কথা, একটা বারের জন্য ফাইনালেও খেলতে পারেনি সেলেসাওরা। সেই সুযোগটা ছিল এবার। তবে জাপানের কাছে হেরে সে সুযোগ আর কাজে লাগানো হয়নি দলটি। জাপানিজদের কাছে ২-১ গোলে হেরে বিশ্বকাপ স্বপ্ন ধুলোয় মিশে গেছে তাদের।
বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে আজ ব্রাজিল মুখোমুখি হয়েছিল অ-২০ নারী বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন জাপানের। এস্তাদিও নাসিওনাল দে কোস্তারিকায় মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। এই ম্যাচে কোচ হোনাস উরিয়াসের ব্রাজিল শুরু থেকেই ছিল দ্বিতীয় সেরা দল হয়ে। বলের দখলে ছিল পিছিয়ে।
তবে প্রতিপক্ষ গোলমুখে শটের দিক থেকে ব্রাজিলের আধিপত্যই ছিল বেশি। ব্রাজিলের ১৯ শটের ৬টি গেছে জাপান গোলমুখে। আর এর বিপরীতে জাপানের শট ছিল মোটে ৯টি, যার ৪টি ছিল প্রতিপক্ষ গোলমুখে।
কাজের কাজটা জাপানই করেছে বৈকি! ৩০ মিনিটে ইয়ুজুকি ইয়ামামোতোর গোলে এগিয়ে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। প্রথমার্ধে এই গোলের জবাব আর দিতে পারেনি ব্রাজিল।
জবাবটা দিল দ্বিতীয়ার্ধে। ৫৫ মিনিটে মিরিয়াম ক্রিশ্চিনার গোলে সমতা ফেরায় ব্রাজিল। তাতে ফাইনালের আশাটাও আবার জেগে ওঠে সেলেসাও ডাগআউটে। তবে সে আশাটা স্থায়ী হলো কেবল ২৯ মিনিট।
ম্যাচের ৮৪তম মিনিটে ব্রাজিলের বুকে ছুরি বসিয়ে গোলটা আদায় করে নেন মাইকা হামানো। বক্সের বাইরে থেকে সতীর্থের বাড়ানো বল দখলে নিয়ে গোলরক্ষককে দারুণ দক্ষতায় ধোঁকা দেন, অসাধারণ এক চিপে জয়সূচক গোলটা পেয়ে যান তিনি।
সেই গোলের জবাবটা আর দিতে পারেনি ব্রাজিল। ২-১ ব্যবধানে জিতে ফাইনালে চলে যায় জাপান। নিজেদের ইতিহাসে চতুর্থবারের মতো তৃতীয় স্থান নির্ধারণীতে জায়গা হয় ব্রাজিলের।
দিনের অন্য ম্যাচে একই ভেন্যুতে স্পেন মুখোমুখি হয়েছিল নেদারল্যান্ডসের। সেই ম্যাচে ইনমা গাবারোর জোড়া গোলে ডাচদের ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠে গেছে স্পেন।
আগামী ২৮ আগস্ট প্রতিযোগিতার ফাইনালে জাপান মুখোমুখি হবে স্পেনের, আগের বিশ্বকাপের ফাইনালেও এই দুই দলই মুখোমুখি হয়েছিল একে অন্যের। একই দিন তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে ব্রাজিল খেলবে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে।