বদলির বিষয়ে তদবির ও রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগ করলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা শিক্ষকের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বুধবার (২৪ আগস্ট) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এই নির্দেশনা জারি করেছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন বিভিন্ন দপ্তর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশ প্রতিপালনে অনীহা প্রকাশ করতে দেখা যাচ্ছে। ১৯৭৯ সালের সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালার ৩০-এর (সি) অনুসারে, কোনো সরকারি কর্মচারী সরকার বা কর্তৃপক্ষের কোনো সিদ্ধান্ত বা আদেশ পরিবর্তন, বদলানো, সংশোধন বা বাতিলের জন্য অনুচিত প্রভাব বা চাপ প্রয়োগ করতে পারবেন না।
এতে আরও বলা হয়েছে, আচরণবিধির ব্যত্যয় ঘটিয়ে কোনো কর্মচারী এ ধরনের আচরণ করলে তা ১৯৭৯ সালের সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালার ৩২ অনুচ্ছেদ অনুসারে, অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হবে। তিনি ওই বিধিমালার আওতায় অসদাচরণের দায়ে অভিযুক্ত হবেন। এই আচরণ থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হলো।
এর আগে মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহার আহমেদের স্বাক্ষরিত একটি সর্তকমূলক নির্দেশনা জারি করা হয়। সেখানে বলা হয়, কোনো কোনো কর্মকর্তা তার ঊধ্র্বতন কর্মকর্তার নির্দেশনা অমান্য করে যাচ্ছেন। এ থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হলো। এ ধরনের কাজ করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সর্তক করে দেওয়া হয়।