গেল বছর সময়টা দারুণই কেটেছিল মুস্তাফিজুর রহমানের। এর সুবাদে আইসিসির বছরের সেরা ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা পেয়েছিলেন তিনি। শুধু তিনি নন, বাংলাদেশ দলের আরও দুই ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান আর মুশফিকুর রহিমও ছিলেন এই দলে। বর্ষসেরা সেই ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি একাদশে থাকার ঘোষণার ৭ মাস পর তিনি পেলেন আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি। আইসিসির পক্ষ থেকে বিশেষ দুটো টুপি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে তার হাতে।
গেল বছর বাংলাদেশের হয়ে মুস্তাফিজ খেলেছিলেন ১০টি ওয়ানডে ম্যাচ। সব মিলিয়ে ১৮ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন তিনি। গড়ও ছিল ঈর্ষণীয়, ২০.৫৫। এরই সুবাদে বর্ষসেরা দলে ডাক পান মুস্তাফিজ। আর টি-টোয়েন্টিতে মুস্তাফিজ ২০ ম্যাচে ১৭.৩৯ গড়ে তুলে নিয়েছিলেন ২৮ উইকেট। যার ফলে বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি দলেও জায়গা পান তিনি।
২১ আগস্ট শনিবার তিনি এই দুই টুপি হাতে পান। এরপরই তিনি আনন্দ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানান। টুপি পরা এক ছবি প্রকাশ করে তিনি লিখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। সবচেয়ে দামী জিনিসটা অবশেষে চলে এসেছে।’
ওয়ানডে বর্ষসেরার নীলরঙা বিশেষ টুপিটা পরেছিলেন মাথায়, যেখানে আইসিসির লোগো ছাড়াও লেখা ছিল ‘আইসিসি ওয়ানডে ইন্টারন্যাশনাল টিম অফ দ্য ইয়ার’। আর হাতে ছিল কমলারঙা টুপিটা, সেখানে আইসিসির লোগোসহ লেখা ছিল ‘আইসিসি টি-টোয়েন্টি ইন্টারন্যাশনাল টিম অফ দ্য ইয়ার।’ এর আগে গেল মাসে মুশফিকুর রহিম পেয়েছিলেন বর্ষসেরা ওয়ানডে দলের টুপি।
বর্ষসেরা ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব তুলে দেওয়া হয়েছিল বাবর আজমের হাতে। ওয়ানডে একাদশে ছিল বাংলাদেশের আধিপত্য। সবচেয়ে বেশি তিন জন করে ক্রিকেটার জায়গা করে নিয়েছিলেন এই তালিকায়। এছাড়াও পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, দ. আফ্রিকা, আয়ারল্যান্ড থেকে এই দলে আছেন একাধিক ক্রিকেটার। টি-টোয়েন্টি একাদশে একমাত্র বাংলাদেশি ছিলেন কেবল মুস্তাফিজই।
২০২১ সালের বর্ষসেরা ওয়ানডে দল :
পল স্টার্লিং, ইয়ানেমান মালান, বাবর আজম (অধিনায়ক), ফখর জামান, রাসি ফন ডার ডাসেন, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), ওয়ানিন্দু হাসরাঙ্গা, মুস্তাফিজুর রহমান, সিমি সিং ও দুষ্মন্ত চামিরা।
২০২১ সালের বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি দল :
জস বাটলার, মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), এইডেন মার্করাম, মিচেল মার্শ, ডেভিড মিলার, তাবরাইজ শামসি, জশ হেইজেলউড, ওয়ানিন্দু হাসরাঙ্গা, মুস্তাফিজুর রহমান, শাহিন শাহ আফ্রিদি।