এশিয়া কাপের জন্য ১৭ সদস্যের দল দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। এই স্কোয়াডে ব্যাটসম্যানের ছড়াছড়ি হলেও এনামুল হক বিজয় আর পারভেজ হোসেন ইমন ছাড়া স্বীকৃত কোনো ওপেনার নেই। বিকল্প ভবনায় আছেন শেখ মেহেদী হাসান। এর বাইরে মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসানকে ভাবনায় রেখেছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
তবে মেহেদী আর সাকিবকে ছাপিয়ে মুশফিকের নাম বেশি আলোচনায়। অথচ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে মাত্র ১ বার ওপেন করার অভিজ্ঞতা আছে এই ডানহাতির। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সে ম্যাচে করেন মোটে ৫ রান। আসন্ন এশিয়া কাপে ওপেন করলে পাওয়ার-প্লের ফায়দা দিতে হবে তার, সঙ্গে ১২০ বল খেলার সামর্থ্য রাখতে হবে। এসব নিয়েই কাজ শুরু করেছেন মুশফিক।আজ বুধবার ক্রিকেট গুরু নাজমুল আবেদীন ফাহিমকে নিয়ে নিজের ব্যাটিং ঝালিয়ে নেন।
মুশফিককে ব্যাটিং অনুশীলন করিয়ে মিরপুরে সংবাদমাধ্যমকে ফাহিম বলেন, ‘আসলেই (ওপেন) করবে কি না জানি না। কারণ, দুজন স্বীকৃত ওপেনার আছে আমাদের দলে। আলোচনাটা যদি মুশফিককে নিয়ে বেশি করি, ওই দুজন খুব একটা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে না। আমার মনে হয় দুজনকেই ব্যাক করা উচিত, যেন ওরা ভালো করতে পারে। সেটা পারলে সেরা হবে। যদি ওদের মধ্যে কেউ ব্যর্থ বা অসুস্থ হয় তাহলে হয়তো মেক শিফট অপশনের ব্যাপার আসবে।’
তবে মুশফিক যখন বিকেএসপির ছাত্র ছিলেন তখন ওপেন করতেন বলে জনান ফাহিম, ‘মুশফিক যখন খেলা শুরু করেছিল বিকেএসপিতে ওপেনার হয়েই এসেছে, এটা আমি জানি। পরে ক্যারিয়ারের কারণে ও মিডল অর্ডারে চলে এসেছে। অবশ্যই ও মিডল অর্ডারের একজন ব্যাটসম্যান, ওপেন করাটা সবসময় চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। আমি জানি না ও নিজেকে কতটা প্রস্তুত করতে পারবে। কিন্তু ওর অভিজ্ঞতাটা কাজে লাগবে। যদি দরকার হয় মুশফিক ও অন্যরাও আছে।’
সম্প্রতি মুশফিকে টি-টোয়েন্টি ব্যাটিং নিয়ে বেশ প্রশ্ন উঠেছে। প্রয়োজনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে পারছেন না তিনি। এশিয়া কাপ দিয়ে সেই আক্ষেপ ঘোচাতে চান এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। এজন্য নেটে পাওয়ার হিটিং অনুশীলন শুরু করেছেন।
ফাহিম বলেন, ‘মুশফিকের ক্ষেত্রে আমি খুব আশাবাদী। আশা করেছিলাম জিম্বাবুয়েতে পাওয়ার হিটিংয়ের সুযোগ নেবে, নেওয়ার সুযোগ ছিল। প্রথম ম্যাচে ফিফটি করেছিল, এমন একটা জায়গায় ছিল পাওয়ার হিটিং করতে পারতো, কেন সুযোগটা নেয়নি আমি জানি না। তবে আমার মনে হয় ও নিজেও আস্তে আস্তে বুঝতে পারছে পাওয়ার হিটিংটা কী।’
যোগ করেন ফাহিম, ‘আজকেও দেখলাম কিছু ভালো শট খেলেছে। আমি নিশ্চিত সামনে আর দু-চারদিন অনুশীলন করলে, আরও বেশি আয়ত্বে আসবে, ও হয়তো আরও এফেক্টভলি ওভার দ্য টপ খেলতে পারবে। টি-টোয়েন্টিতে চার ছক্কা মারার যে ব্যাপার, সেটা সফল হবে।’