জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দামও বেড়েছে। বেড়েছে পেঁয়াজের দামও।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ১০ টাকা করে বেড়েছে। দেশি পেঁয়াজ গত সপ্তাহে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। আজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে। ভারতীয় পেঁয়াজ গত সপ্তাহে কেজি ছিল ৩০ টাকা। আজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজিতে।
শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে বিক্রেতা ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
যাত্রাবাড়ীর মিনা বাজারের খুচরা পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মো. জাকিরুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুই তিনদিন আগেও দেশি পেঁয়াজ ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। আজ ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। আমাদের কিছুই করার নেই। কারণ পাইকারি বাজার থেকে আমাদের বেশি দরে কিনতে হচ্ছে। ভারতীয় পেঁয়াজ ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।
যাত্রাবাড়ীর কাজলায় ৫ সদস্যের পরিবার নিয়ে বাস করেন লন্ড্রি ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম। তিনি একসঙ্গে ৫ কেজি পেঁয়াজ কিনতে বাজারে এসেছেন। কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, দুই সপ্তাহ আগে ১৫০ টাকায় ৫ কেজি পেঁয়াজ কিনেছিলাম। আজ পেঁয়াজ কিনতে এসে তো মাথায় হাত। ৫ কেজির দাম চাচ্ছে ২৪০ টাকা। আমার কাছে তো এতো টাকা নেই। বাধ্য হয়ে আড়াই কেজি পেঁয়াজ নিলাম।
শুধু লন্ড্রি ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম নয়, বাজার করতে আসা বিধবা মর্জিনা বেগম বলেন, বাবা কি আর বলবো। এক ছেলে নিয়ে বাস করি। ভালোভাবে সংসার চালাতে পারি না। সবকিছুর দাম চড়া। তেল, চিনি,পেঁয়াজ সব কিছুর দাম বেড়েছে। এভাবে সবকিছুর দাম বাড়তে থাকলে সংসার চালাতে পারব না। আপনারা সাংবাদিকরা শেখ হাসিনাকে বলেন দাম কমাতে।
কাপ্তান বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, পাইকারী বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি কম। এছাড়া জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় পরিবহন খরচ বেড়েছে। এ কারণে পেঁয়াজের দাম বাড়তি। পাইকারি বাজার থেকে কেজি প্রতি পেঁয়াজ নিয়ে আসতে খরচ পড়েছে ৪৪/৪৫ টাকা। ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি না করলে তো আমাদের কোনো লাভ থাকবে না।