আজ বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) বেলা ১১টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে জানাজা অনুষ্ঠিত হয় ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলমের।
এর আগে বুধবার (৩ আগস্ট) রাতে এ ঘোষণা দেন তিনি। এদিন সন্ধ্যা ৬টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে নুর আলমের জানাজা হওয়ার কথা ছিল। এ উপলক্ষে নেতাকর্মীরা বিকেল থেকে নয়াপল্টনের জড়ো হয়ে ভোলার ঘটনার প্রতিবাদ জানান।
বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম জানান, বিকেল ৩টায় নুরে আলমের মৃত্যু হয়েছে। আহত হওয়ার পর তার ব্রেইনে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মাল্টি ডাইমেনশনাল সমস্যা দেখা দেয়। এতে জ্ঞানের মাত্রা কমে যায়। গুলিতে নুরে আলমের মুখমণ্ডল ফুলে যায়।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে, গ্যাস, বিদ্যুতসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ও বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে গত ৩১ জুলাই বেলা ১১টায় ভোলা জেলা বিএনপি প্রতিবাদ সমাবেশ এবং বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে। শহরের কালীনাথ রায়ের বাজার এলাকায় জেলা বিএনপি কার্যালয়ে সমাবেশ শেষে মিছিল করতে রাস্তায় নামেন দলীয় নেতাকর্মীরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৩০ রাউন্ড টিয়ার শেল ও ১৬৫ রাউন্ড শটগানের গুলি ছোড়ে। এতে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন।
আহতদের ভোলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে নিহত হন দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের কোড়ালিয়া গ্রামের হারেছ মাতব্বরের ছেলে স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আব্দুর রহিম। মাথায় গুলিবিদ্ধ গুরুতর আহত ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলমকে ভোলা হাসপাতাল থেকে প্রথমে বরিশাল শেবাচিমে পাঠানো হয়। পরে দলের হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তে দ্রুত ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য আনা হয়। ১ আগস্ট তার স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় লাইভ সাপোর্টে নেওয়া হয়।