সারাদেশে ১৪৭ কন্যাশিশু নির্যাতন ও ১৪৮ নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এরমধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৪৮ জন কন্যাসহ ৭৩ জন। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়েছে।
মহিলা পরিষদের সংগৃহীত তথ্যমতে, ২০২২ সালের জুলাই মাসে মোট ২৯৫ জন নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৪৮ জন কন্যাসহ ৭৩ জন। তার মধ্যে ১০ জন কন্যা ও ৯ জন নারীসহ ১৯ জন সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, ১ জন কন্যা ও ২ জন নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে এবং ১ জন কন্যা ধর্ষণের পর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও ৯ জন কন্যাসহ ১৩ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।
১১ জন যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন, এর মধ্যে ৮ জন কন্যা। নারী ও কন্যা পাচারের ঘটনা ঘটেছে ৬টি, এর মধ্যে ৪ জন কন্যা।
এসিডদগ্ধের শিকার হয়েছেন ১ জন। ৩ জন অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছেন। যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১৬ জন, এরমধ্যে ৫ জনকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে।
শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মোট ১৮ জন, এর মধ্যে ৭ জন কন্যা। পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন ৬ জন। গৃহকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ২ জন, এর মধ্যে ১ জনকে হত্যা করা হয়েছে।
বিভিন্ন কারণে ৯ জন কন্যাসহ ৪২ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও ১ জন কন্যাসহ ২ জনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ৮ জন কন্যাসহ ২৭ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ৬ জন কন্যাসহ ১৭ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে, এরমধ্যে ২ জন কন্যাসহ ৪ জন আত্মহত্যার প্ররোচণার শিকার হয়েছেন।
৮ জন কন্যাসহ ৯ জন অপহরণের ঘটনার শিকার হয়েছেন। এছাড়াও ১ জন কন্যাকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছে। ফতোয়ার ঘটনার শিকার হয়েছেন ৪ জন। ৪ জন কন্যাসহ সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছেন ৬ জন।
বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটেছে ১০টি। বাল্যবিবাহের ঘটনা প্রতিরোধ করা হয়েছে ৯টি। এছাড়া ৩ জন কন্যাসহ ৮ জন বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।