১৪তম জাতীয় পর্যায়ের মেন্টাল অ্যারিথমেটিক প্রতিযোগিতা-২০২২ ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে অংশ নিয়েছে প্রায় এক হাজার ৮০০ শিক্ষার্থী। প্রতিযোগীরা কতো দ্রুত ও নির্ভুলভাবে গাণিতিক সমস্যার সমাধানে পৌঁছাতে পারে- সেটি পরীক্ষার উদ্দেশেই এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটিতে আলোহা বাংলাদেশের আয়োজনে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
সারাদেশের ৫০০টিরও বেশি স্কুল থেকে এক হাজার ৮০০ জন শিক্ষার্থী এতে অংশ নেয়। আলোহা বাংলাদেশ ২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি। অংশগ্রহণকারীদের পাঁচ মিনিটের মধ্যে ৭০টি জটিল গাণিতিক সমস্যার সমাধান করতে বলা হয় এবং বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই উল্লেখিত সময়ের মধ্যে নির্ভুলভাবে সমাধান করে।
স্বাগত বক্তব্যে আলোহা বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, মস্তিষ্কের মানোন্নয়নে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত আলোহা মেন্টাল অ্যারিথমেটিক মালয়েশিয়া থেকে সর্বপ্রথম আমরা বাংলাদেশে নিয়ে এসেছি। প্রতি বছর শিক্ষার্থীরা ব্যাপক আগ্রহ ও উৎসাহ নিয়ে এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। মোট তিনটি ব্যাচে শিক্ষার্থীরা এ পরীক্ষায় অংশ নেয়।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা প্রতি বছরই আন্তর্জাতিক প্রতিয়োগিতায় উল্লেখযোগ্য ফলাফল করছে। শুধু তাই নয়, আলোহার শিক্ষার্থীরা বড় হয়ে নানা ধরনের মেধার স্বাক্ষর রেখে চলেছে এবং বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করছে।
প্রধান অতিথি লোহমুনসাঙ বলেন, আমরা চাই, পুরো পৃথিবী জুড়ে শিক্ষার্থীদের বুদ্ধিমত্তার সৃষ্টিশীল বিকাশ ঘটুক। সে লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। প্রতি বছর বাংলাদেশের এত ছেলে-মেয়েদের অংশগ্রহণ আমাকে বিস্মিত করে, অনুপ্রাণিত করে। আমরা চাই, এ মেধাবী মুখগুলো ভবিষ্যতে দেশের উন্নতিতে অংশগ্রহণ করুক।
এ বছর জাতীয় পর্যায়ে উন্নীত শিক্ষার্থীরা মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে।
২০০৬ সালের মার্চ থেকে বাংলাদেশে এ কার্যক্রম পরিচালনা করছে আলোহা বাংলাদেশ। আলোহা আন্তর্জাতিক মান সংস্থা (আইএসও) সনদপ্রাপ্ত লার্নিং সিস্টেম যা যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, চীন, ভারত, মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৪২টি দেশের ৬০ লাখের বেশি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কাজ করে।
জাতীয় সংঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের প্রথমপর্ব উদ্বোধন করেন আলোহা মেন্টাল অ্যারিথমেটিকের প্রতিষ্ঠাতা মি. লোহমুনসাঙ। শুভেচ্ছা বক্তব্যের পর অতিথিদের স্মারক তুলে দেওয়া হয়। এরপর শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানানোর পর শুরু হয় পরীক্ষা।
বিকেলে প্রতিযোগিতার দ্বিতীয়পর্বে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এ পর্বের অনুষ্ঠান শুরু হয় আলোহা বাংলাদেশের থিমসং দিয়ে। এরপর আলোহা কোয়ালিফাইড শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের সনদ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠান শেষে ফলাফল ঘোষণা ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আলোহা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান সাইফুল করিম। এতে উপস্থিত ছিলেন আলোহা বাংলাদেশের ডিরেক্টর মো. শামসুদ্দিন টিপু ও আলোহা ইন্টারন্যাশনালের ডিরেক্টর মিস. কিরণ মাতওয়ানি।