মুল্যস্ফীতি কখনো দৈনিক কিংবা সাপ্তাহিক ভিত্তিতে হয় না, মূল্যস্ফীতি গড় ভিত্তিতে হয় জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘গণমাধ্যমে মাসিক ভিত্তিতে যে মূল্যস্ফীতি এসেছে, আমরা সেভাবে হিসাব করি না।’
বুধবার (২০ জুলাই) দুপুরে ভার্চুয়ালি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি অর্থনৈতিক ও ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মুস্তফা কামাল বলেন, ‘সারাবিশ্বে কোথায় কি হচ্ছে, সেটির খোঁজখবর আমরা রাখি। সেখানে কীভাবে নিজেদের সুন্দরভাবে অ্যাকোমডেট করতে পারি, সেটাও আমরা চিন্তা করে রাখি। মূল্যস্ফীতি নিয়ে গণমাধ্যমে এসেছে গত মাসে ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ মূল্যস্ফীতির পরিমাণ। যেটা ৯ বছরের মধ্যে সর্ববৃহৎ, মূল্যস্ফীতি হবে এক বছরের গড়।’
মন্ত্রী বলেন, ‘৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ মূল্যস্ফীতি নিয়ে আপনারা আতঙ্কিত। আমরা যখন দায়িত্বগ্রহণ করি, ২০০৯ সালে তখন মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ দশমিক ৩ শতাংশ। আমরা সেখান থেকে শুরু করে এখন যে মূল্যস্ফীতি সেটা যদি মাস থেকে মাস ধরেন, সেখানে এক রকম হিসাব পাবেন। কিন্তু মাস থেকে মাস মূল্যস্ফীতি হিসাব করি না। আমরা করি গড় মূল্যস্ফীতির হিসাব। এখনো আমাদের গড় মূল্যস্ফীতির পরিমাণ ৫ দশমিক ৯ শতাংশ।’
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলেছে, এশিয়ার কিছু দেশের শ্রীলঙ্কার অভিজ্ঞতা থেকে সতর্ক হওয়া উচিত- এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এশিয়ান দেশের মধ্যে তো নেপাল, পাকিস্তান এমনকি থাইল্যান্ডও আছে। আমরা যখন শুরু করি, আমাদের রিজার্ভের পরিমাণ কত ছিল? ৭ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার। এখন নেই নেই করেও ৪০ বিলিয়ন ডলার আছে। এ ৪০ বিলিয়ন ডলার কিন্তু আগে কেউ করতে পারেনি।’
তিনি বলেন, ‘আইএমএফের লোকজন এখানে আছেন, তাদের সঙ্গে দেখা করেন। আপনারা বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে দেখা করে দেখেন, তারা বাংলাদেশ সম্পর্কে কী বলেন।’