বিদ্যুতের ঘাটতি মোকাবিলায় অপচয় রোধ ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে মঙ্গলবার থেকে রাজধানীসহ সারাদেশে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং চলছে। প্রথম দিনের শিডিউল লোডশেডিংয়ে সারাদেশে ১ হাজার ৯১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ লোডশেডিং হয়েছে বলে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) সূত্রে জানা গেছে।
বুধবার (২০ জুলাই) সকালে পিডিবির জনসংযোগ বিভাগের সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত পরিচালক শামীম হাসান জাগো নিউজকে বলেন, প্রতিদিন একই পরিমাণে লোডশেডিং হবে বিষয়টা এমন নয়। আমাদের পরিস্থিতি বুঝে কম বেশি করার প্রয়োজনও হতে পারে। যতটুকু লোডশেডিং হবে, আমরা ততটুকুকেই সাশ্রয় হিসেবে ধরবো।
পিডিবি সূত্রে জানা গেছে, লোডশেডিংয়ের প্রথম দিন ১৪ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে ১২ হাজার ৪৪২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে ব্যবধান মেটাতে এক হাজার ৯১৫ মেগাওয়াট লোডশেডিং করার পরিকল্পনা ছিল। যেটি বাস্তবায়ন হয়েছে।
এর আগে গত সোমবার (১৮ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী জ্বালানি সংকটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় ১৯ জুলাই থেকে রাজধানীসহ সারাদেশে দৈনিক দুই ঘণ্টা এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং কার্যকর করার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন।
পরবর্তীসময়ে তা কমিয়ে দৈনিক এক ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের সংশোধিত সিদ্ধান্তের কথা সাংবাদিকদের জানান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকভাবে পরীক্ষামূলক ভিত্তিতে দৈনিক এলাকাভিত্তিক এক ঘণ্টার লোডশেডিং দেওয়া হবে। এক সপ্তাহ পর প্রয়োজনে আমরা সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবো।