প্রাথমিকের পাঠ্যপুস্তক সহজ, সরল ও প্রাঞ্জলভাবে লেখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যবই এমনভাবে লিখতে হবে, যাতে শিক্ষা শিশুর মনে ভীতি নয়, প্রীতির ভাব জাগাবে। পাঠ্যপুস্তক হতে হবে সহজ, সরল ও প্রাঞ্জল, যা শিশুকে আনন্দিত করবে, বইয়ের পাতা উল্টানোর তাগিদ সৃষ্টি করবে।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড আয়োজিত প্রথম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক ও শিক্ষক সহায়িকার যৌক্তিক মূল্যায়ন সংক্রান্ত কর্মশালার উদ্বোধন অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেন।
আমিনুল ইসলাম খান বলেন, নতুন শিক্ষানীতির আলোকে সরকার পুরনো ধারার শিক্ষার খোলনলচে পাল্টে এমন এক শিক্ষার বীজ বপন করছে, যা শিক্ষার্থীর মস্তিষ্ক ও পিঠ থেকে মুখস্থ বিদ্যার বোঝা ঝেড়ে তাদের কৌতূহল, জিজ্ঞাসা, অনুসন্ধান, শক্তিকে জাগাবে ও কাজে লাগাবে। এর মাধ্যমে শিশুর জানার পরিধি বাড়বে এবং সে স্বপ্ন ও কল্পনা দিয়ে আপন ভুবন সাজাবে। সে নিজেই নানা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করবে, তা মোকাবিলা করে অভীষ্ট গন্তব্য পৌঁছাবে। তাই এটা বলা যায়, মানসম্মত পাঠ্যপুস্তক শিশুর অপার সম্ভাবনা ও ভবিষ্যৎ স্বপ্নকে সত্যি করে তুলবে।
এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহিবুর রহমান, পরিচালক ড. উত্তম কুমার দাশ, এনসিটিবির সদস্য মো. মশিউজ্জামান ও অধ্যাপক একেএম রিয়াজুল হাসান, সচিব নাজমা আখতার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।