ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর চলমান সামরিক অভিযান কবে নাগাদ শেষ হতে পারে, সে বিষয়ক কোনো তথ্য নেই ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে। বুধবার সাবেক সোভিয়েত রাষ্ট্র তুর্কমেনিস্তানের রাজধানী আশখাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।
পুতিন বলেন, ‘আমি কখনও নির্দিষ্ট সময়সীমা বা ডেডলাইন উল্লেখ করে কথা বলি না। কারণ আমি বিশ্বাস করি— এটা জীবন, এটা বাস্তবতা।’
‘তাছাড়া আরও একটি কারণ আছে। আমি যদি (সামরিক অভিযান বন্ধের) ডেডলাইন ঘোষণা করি, তাহলে যুদ্ধক্ষেত্রে দুই পক্ষের সেনাদের মধ্যেই হামলা-সংঘাত আরও বাড়তে পারে এবং এটা একেবারেই আমাদের কাম্য নয়। কারণ, আমরা আমাদের লোকজনের (সেনা) জীবনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেই।’
যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোকে ঘিরে দ্বন্দ্বের জেরে সীমান্তে আড়াই মাস সেনা মোতায়েন রাখার পর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই ঘোষণা দেওয়ার দ’দিন আগে ইউক্রেনের রুশ বিচ্ছিন্নতাবাদী নিয়ন্ত্রিত দুই অঞ্চল দনেতস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেন তিনি।
বৃহস্পতিবার ১২৭তম দিনে গড়িয়েছে ইউক্রেনে রুশ সেনাদের অভিযান। ইতোমধ্যে দেশটির দুই বন্দর শহর খেরসন ও মারিউপোল, দনেতস্ক প্রদেশের শহর লিয়াম, লুহানস্ক প্রদেশের প্রধান শহর সেভেরোদনেতস্ক এবং মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ জাপোরিজ্জিয়ার আংশিক এলাকার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে রুশ বাহিনীর হাতে।
এদিকে যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথম রাশিয়ার বাইরে গিয়েছেন পুতিন। মধ্য এশিয়ার সাবেক সোভিয়েত রাষ্ট্রসমূহের একটি সম্মেলনে যোগ দিতে বর্তমানে তুর্কমেনিস্তানে রয়েছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে পুতিন দাবি করেন, যেসব লক্ষ্য নিয়ে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু হয়েছিল, সেসব থেকে রাশিয়া বিচ্যুত হয়নি।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এই অভিযানের লক্ষ্য ছিল তিনটি— দনেতস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন করা, এই দুই অঞ্চলের মানুষকে রক্ষা করা এবং রাশিয়ার ভৌগলিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এসব ক্ষেত্রে এখনও কোনো পরিবর্তন আসেনি, রাশিয়াও তার লক্ষ্যসমূহ থেকে বিচ্যুত হয়নি।’