অন্যান্য দেশে দাম বেশি হওয়ায় রাশিয়া থেকে ফের গম আমদানির চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে চুক্তির জন্য দুই দেশের সরকারের মধ্যে আলোচনা চলছে। জানা গেছে, বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি গম আমদানি করে ভারত থেকে। কিন্তু দেশটি অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে ও মূল্য নিয়ন্ত্রণে এরই মধ্যে রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) সরকারি কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের বরাত দিয়ে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
একজন শিল্প কর্মকর্তা জানান, বিশ্বের বৃহত্তম গম রপ্তানিকারক রাশিয়ার সঙ্গে সরবরাহ চুক্তি ঢাকাকে খাদ্য চাহিদা মেটাতে সাহায্য করতে পারে। কারণ এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে।
বাংলাদেশের খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চুক্তিটি চূড়ান্ত করতে বৃহস্পতিবার রাশিয়ার সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছিুক ওই কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে রাশিয়া থেকে কমপক্ষে দুই লাখ টন গম আমদানি করা হতে পারে।
তবে এ ব্যাপারে বাংলাদেশের খাদ্য মন্ত্রণালয় কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ বছরে প্রায় ৭০ লাখ টন গম আমদানি করে। গত বছরের আমদানির দুই-তৃতীয়াংশের বেশি আসে ভারত থেকে। ভারতের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার পরে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে সরবরাহ সুরক্ষিত করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু উচ্চ মূল্যের কারণে সেগুলো বাতিল করা হয়েছে।
মুম্বাইভিত্তিক একটি বৈশ্বিক বাণিজ্য সংস্থার একজন ডিলার বলেছেন, বাংলাদেশ ভারত থেকে গম কিনলে প্রতি টনে মোট পরিশোধ করতে হয় ৪০০ ডলারের কমে। কিন্তু অন্য উৎস থেকে আমদানি করলে প্রতি টনে পরিশোধ করতে হয় ৪৬০ ডলার। এতে বাংলাদেশের স্থানীয় বাজারে দাম বেড়ে যাবে।
দিল্লিভিত্তিক একটি কোম্পানি জানায়, অনেক দেশ আছে যারা বাংলাদেশে গম সরবরাহ করতে পারে, কিন্তু মূল বিষয় হলো দাম। তবে রাশিয়া বিশ্বব্যাপী মূল্যের ওপর ছাড় দিতে পারে।