দেশের এক শ্রেণী ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে গরু, মুরগি এবং খাসির মাংসের দাম কেজি প্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা বাড়িয়েছেন। তারা বলছেন, চাহিদার তুলনায় বাজারে মাংসের সরবরাহ কম থাকায় দাম কিছুটা বেশি। এদিকে শবে বরাত মাথায় রেখে বেশি দামেই মাংস কিনছেন ক্রেতারা।
রাজধানীর বাড্ডা, রামপুরা এবং মালিবাগ কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, আগের দিনের তুলনায় মাংসের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। এসব বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৯০ টাকা থেকে ৬২০ টাকা দরে। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকায়।
বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৭০ টাকা দরে। ২০০ টাকা কেজির লেয়ার মুরগি সোমবারের বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়। মধ্যমানের সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৬০-৩২০ টাকা দরে। এছাড়াও এক কেজি ওজনের দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫২০ থেকে ৫৪০ টাকা দামে।
বাড্ডা কাঁচাবাজারের মাংস ব্যবসায়ী মেসবাহ উদ্দিন অঙ্কুর বলেন, গত এক মাস ধরেই বাড়তি মাংসের দাম। তবে অন্যদিনের তুলনায় দাম আজকে কিছুটা বেড়েছে। একমাস ধরে বাড়ার পরও আজ আবার কেনো বাড়ল জানতে চাইলে তিনি বলেন, শবে বরাতের কারণে দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। গত দিনগুলোর তুলনায় বিক্রি অনেকটা ভালো। তবে অন্য বছরের শবে বরাতের বিক্রি তুলনায় এবার কম বিক্রি হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
মাংস কিনতে আসা মুন্নাফ আলমগীর বলেন, গরুর মাংস আর রুটি খেতেই মাংস কিনতে এসেছি। কিন্তু দাম শুনে ২ কেজির জায়গায় ৬০০ টাকা দরে দেড় কেজি মাংস কিনেছি। রামপুরা বাজারে মুরগি কিনতে আসা পোশাক শ্রমিক রোকন আহমেদ শাকিল বলেন, গত বৃহস্পতিবার ১৫০ টাকা কেজি দরে কিনেছি। কিন্তু আজকে ১৭০ টাকা কেজি দাম চাচ্ছে।
বাড্ডার এক মুরগি ব্যবসায়ী জানান, রায়ের বাজার ও কাপ্তান বাজার থেকে কক মুরগি পাইকারি ৫-১০ টাকা বেশি দামে কিনতে হয়েছে। এ কারণে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, আজকের বাজারে সোনালী ককগুলো বিক্রি করছি ৩৫০-৩৬০ টাকা কেজি দরে। রামপুরা বাজারের ব্রয়লার মুরগি ব্যবসায়ী নেহাত ঢাকা পোস্টকে বলেন, মুরগিতে আজ কেজি প্রতি ১০-২০ টাকা দাম বেড়েছে। ১৫০ টাকা কেজির মুরগি ১৭০ টাকায় বিক্রি করছি।
দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, মুরগির দাম কমার ফলে লাখ লাখ টাকা লোকসানে পড়েছে ব্যবসায়ীরা। সামনে রোজা, মুরগির দাম আপাতত কমবে না, বরং বাড়বে। এদিকে মাংসের পাশাপাশি বাজারে চড়া ইলিশের দামও। আরও বেড়েছে তেল, আটা-ময়দার দাম।