সিলেট অঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। সুনামগঞ্জের ৯০ শতাংশ ও সিলেটের ৬০ শতাংশ এলাকা এখন পানির নিচে। ডুবে গেছে শপিংমল, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, দোকানপাট, ঘরবাড়ি। বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে জেলা দুটি। বন্ধ রয়েছে বিমান, রেল ও বাস যোগাযোগ।
ভারী বৃষ্টিতে প্রতিনিয়ত পানি বাড়ছে সুরমা-কুশিয়ারায়। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দুর্ভোগও। খাবারের পাশাপাশি তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির। আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই হয়েছে ৮৫ হাজার মানুষের।
টান পড়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের। ঘরে পানি, বাইরে পানি তাই নৌকাতেই আপাতত সংসার পেতেছেন কেউ কেউ। বসতঘর ডুবে যাওয়ায় কারো কারো ঠাঁই হয়েছে অসমাপ্ত উঁচু দালানে।
মাথা গোঁজার ঠাঁই সংকটকে আরো ভয়ংকর করে তুলেছে খাবার-দাবারের বাড়তি দাম। অভিযোগ আছে, অতিরিক্ত অর্থ দিয়েও মিলছে না, চাল-ডাল-লবণ।
সিলেট সুনামগঞ্জের পর এখন পানি ঢুকতে শুরু করেছে আশপাশের সব জেলায়। এদিকে আগামী দুই দিন বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হবে বলে জানিয়েছে সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড। আর আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী চলমান বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় পরিস্থিতি আরো নাজুক হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সিলেটে আবহাওয়া অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী জানান, পূর্বাভাস অনুযায়ী অন্তত আরো দু’দিন বৃষ্টিপাত হবে। একই সময়ে উজানেও ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। এতে নদ-নদীর পানি বাড়বে।