উত্তেজনাপূর্ণ প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে। একদিন পরেই (১৫ জুন) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই সিটির প্রচারণা শেষ হলেও এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আলোচনা যেন শেষই হচ্ছে না স্থানীয় ভোটারদের মধ্যে। তাই মধ্যরাত পর্যন্ত রাস্তায় ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাঠে তারা জড়ো হয়ে হিসাব-নিকাশ কষছেন কে হতে পারেন পরবর্তী নগর পিতা। অন্যদিকে শহরের বিভিন্ন হোটেল মোটেলে পুলিশি অভিযান চালানো হচ্ছে।
১৩ জুন রাতে কুমিল্লা সিটির অভিজাত ক্লাব কুমিল্লা সিটি ক্লাবের মাঠে সরেজমিন দেখা গেছে, সেখানে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সারকে নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা হচ্ছে। সংবাদ মাধ্যমে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাসানুল হক রিফাত ও সাবেক বিএনপির আরেক বহিষ্কৃত প্রার্থী মেয়র মনিরুল হক সাক্কুকে নিয়ে আলোচনা হলেও নিজাম উদ্দিন কায়সারকে নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে অনেক আগ্রহ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের ভোটারদের মধ্যে।
জামতলার তরুণ রফিক আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, এই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে মূলত ত্রিমুখী। তবে সবাইকে টপকে নিজাম উদ্দিন কায়সার যদি মেয়র নির্বাচিত হন তাহলেও আশ্চর্য হওয়ার কিছু থাকবে না। কারণ তরুণ প্রজন্মের মধ্যে তিনি ব্যাপক আগ্রহ উদ্দীপনা তৈরি করেছেন। কারণ তিনি একজন তরুণ প্রার্থী।
ধর্মপুরের অধিবাসী ব্যাংকার নিয়াজ উদ্দিন বলেন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এবার কে জয়ী হবেন তা বলা যাচ্ছে না তবে ত্রিমুখী লড়াই হবে। তবে কান্দির পাড় এলাকার মাহবুবুর রহমান বলেন, মূলত বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাসানুল হক রিফাতের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
যে যা-ই হোক না কেন আমরা চাই নিরপেক্ষ সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। এ নির্বাচনে যেনো কোনো প্রাণহানি না ঘটে সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সজাগ থাকার অনুরোধ জানাই।
কুমিল্লার হোটেল পার্কসহ কয়েকটি হোটেল ও মেসে পুলিশি অভিযান চালানো হয়। বহিরাগতদের শনাক্ত করার জন্য ও তাদের এলাকা ছেড়ে দেওয়ার জন্যই এই অভিযান চালানো হয় বলে নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদূননবী চৌধুরী জানান
২০১৭ সালে আঞ্জুম সুলতানা সীমাকে ১১ হাজার ভোটে হারিয়ে সাক্কু জয় পান। তাই এবারের তরুণ ২২ হাজার নতুন ভোটারদের জয়-পরাজয়ে ফ্যাক্টর মনে করছেন প্রার্থীরা।
আগামীকাল কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএমে) ভোটগ্রহণ করা হবে। এই নির্বাচনে ৫ জন মেয়রপ্রার্থীর পাশাপাশি ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী ৩৬ জন ও সাধারণ ওয়ার্ডে ১০৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১০৫টি ভোটকেন্দ্রে বুথ রয়েছে ৬৪০টি।