প্রস্তাবিত বাজেটকে উচ্চাভিলাষী বললেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের। বৃহস্পতিবার (৯ জুন) প্রস্তাবিত বাজেট পরবর্তী তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন তিনি।
জি এম কাদের বলেন, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উচ্চাভিলাষী। করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এমনিতেই বিশ্ববাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। ফলে জ্বালানি তেলসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েই চলছে। এমন বাস্তবতায় বিশাল বাজেটকে উচ্চাভিলাষী বাজেট বলতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, বাজেটে আড়াই লাখ কোটি টাকার ঘাটতি দেখানো হয়েছে, যা জিডিপির ৫ শতাংশের বেশি। আবার ৩৬ শতাংশ অভ্যন্তরীণ ঋণের ওপর ভরসা করা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ ঋণের পরিমাণ বেশি হলে ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। ফলে, নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির পথ সংকুচিত হতে পারে। আবার বিদেশি ঋণের পরিমাণ ১৪ দশমিক ২ শতাংশ। দিনে দিনে বিদেশি ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধির কারণে শ্রীলঙ্কার মতো বিপর্যয় সৃষ্টি হতে পারে।
ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্য কমছে বলে উল্লেখ করে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, মূদ্রাস্ফীতির কারণে দেশের মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের জীবন কষ্টকর হয়ে উঠতে পারে। অন্যদিকে চাল, ডাল ও তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিশ্ববাজার থেকে কিনে ভর্তুকি দিয়ে দরিদ্র মানুষের জন্য স্বল্প মূল্যে বিক্রির জন্য একটি উদ্যোগ থাকা উচিত ছিল। পাশাপাশি গত বছরের চেয়ে ৪২ হাজার কোটি টাকা বেশি কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। অতিরিক্ত কর আদায়ের বিরূপ প্রভাব সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্ট আরও বেড়ে যাবে।
এর আগে বিকেলে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল দেশের ৫১তম এবং সর্ববৃহৎ ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেন।