অনাস্থা ভোট জিতে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে টিকে গেছেন বরিস জনসন। সোমবার (৬ জুন) তার নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রেখেছেন তার কনজারভেটিভ পার্টির আইনপ্রণেতারা। জনসনের পক্ষে ২১১টি ভোট পড়েছে এবং বিপক্ষে ১৪৮টি ভোট। আইনপ্রণেতাদের ৫৯ শতাংশের সমর্থন পেয়েছেন তিনি। ২০১৯ সালের নির্বাচনে বড় জয় পেয়েছিলেন জনসন। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ব্রিটেনে কঠোর লকডাউনের মধ্যে জনসন ও তার কর্মীরা ডাউনিং স্ট্রিট অফিস এবং বাসভবনে অ্যালকোহল নিয়ে পার্টি করার পরে তার ওপর চাপ বাড়তে থাকে।
জনসন তার আস্থা ভোটের জয়কে ‘অবধারিত’ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, এটি একটি ‘খুব ভালো’ ও সন্তোষজনক ফলাফল এবং মিডিয়া যেসব বিষয় নিয়ে ব্যস্ত থাকে, তা পেছনে রেখে দেওয়ার সুযোগ। ২০১৮ সালে দলীয় আস্থা ভোটে জিতে ৬৩ শতাংশ সমর্থন পেয়েছিলেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। জনসন তার থেকেও কম সমর্থন পেয়েছেন। থেরেসা মে অবশ্য অনাস্থা ভোট জযেটা ছয় মাস পরে ব্রেক্সিট অচলাবস্থার জন্য পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
গত মাসে কোভিড -১৯ মহামারী চলাকালে ডাউনিং স্ট্রিটে লকডাউন ভেঙে পার্টি করার ঘটনার প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলে জনসনের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের প্রেক্ষাপট তৈরি হয়। জনসন একাধিক বার করোনার বিধিনিষেধ ভঙ্গ করেছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এর মধ্যে একটিতে ২০২০ সালের জুনে জন্মদিনের পার্টিতে যোগ দেওয়ার জন্য পুলিশ তাকে জরিমানা করেছিল।